শিলিগুড়ি: ১০০ দিনের কাজের বকেয়ার দাবিতে রাজভবনের সামনে ধর্নায় তৃণমূল (TMC)। 'পালিয়ে বেড়াচ্ছেন রাজ্যপাল', এই অভিযোগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের বিক্ষোভ (TMC Agitation)। শিলিগুড়িতে সার্কিট হাউসের বাইরে তৃণমূলের বিক্ষোভ। বাগডোগরা বিমানবন্দরেও বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। মাটিগাড়ায় কালো পতাকা দেখানো হল রাজ্যপালকে। 


দু'রাত পার, রাজভবনের সামনে ধর্নায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দার্জিলিংয়ের রাজভবনে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে দেখা করায় সম্মতি দিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু কলকাতায় (Kolkata) এসে রাজ্যপাল (Governor) দেখা না করা পর্যন্ত ধর্না চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আনন্দ বোসকে ৫০ লক্ষ চিঠি পড়ানোর হুঁশিয়ারি।


কলকাতা রাজভবনের বাইরে ধর্না-অবস্থানের মঞ্চ থেকে ফের একবার রাজ্যপালকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাজ্যপালকে জমিদার কটাক্ষ করার পরে জানিয়েছেন, 'ওঁকে আমার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করতেই হবে। সব চিঠি এসে পৌঁছক। ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে দেখা করতে যাব। ওঁকে সেগুলো পড়ে দেখতে হবে।' রাতভর ধর্নামঞ্চে অবস্থান চালানোর পাশাপাশি অভিষেকের বক্তব্য, 'আপনি ৩ দিন থাকতে পারতেন, এসেই ফিরে গেলেন, রাজভবন খালি, আমরা সৌজন্য দেখিয়েছি, কিন্তু রাজ্যপালের (Governor) এই জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে। দিল্লিতে যা হয়েছে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতা, এর জবাব দেবে মানুষ'। 


প্রসঙ্গত, দিল্লি সফরের মাঝে উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি দেখে ফের রাজধানীতে ফিরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। শনিবার দিল্লি থেকে ফিরে তাঁর ফের উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার কথা। জানা যায়, দিল্লি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছে সেখান থেকে যাবেন দার্জিলিংয়ের রাজভবনে (Darjeeling Raj Bahavan)। সেখানেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। যে জন্য দার্জিলিং যাওয়ার কথা তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, প্রদীপ মজুমদারের। তবে এদিন 'পালিয়ে বেড়াচ্ছেন রাজ্যপাল', এই অভিযোগ তুলে উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ জায়গায় বিক্ষোভ দেখাল শাসকদল।


আরও পড়ুন, 'ভারত সরকার লুঠেরাদের টাকা দিতে চায় না..', বিস্ফোরক শুভেন্দু


বৃহস্পতিবার অভিষেক বলেন, 'রাজ্য়পাল যতক্ষণ না আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন, আমরা এই ধর্নামঞ্চ ছেড়ে যাব না। আমরা এখানেই থাকব। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে চালাব, আমি এখানেই রাত কাটাব, এখানেই বসে থাকব। মোদি সরকারের যা জেদ, তার ১০ গুণ জেদ আমার। বিজেপির প্রতিনিধি দলকে আপনি একটা ফোনে সাক্ষাৎ করার সময়ের জন্য় অ্য়াপয়েন্টমেন্ট দিতে পারেন। আর ২-৩ বার লিখিত মেল পাঠানো, চিঠি দেওয়ার পরও আমাদের সাক্ষাৎ দেওয়া হচ্ছে না।আমরা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের ধর্না, আমাদের কর্মসূচি চালাব। আর আমি এখানেই থাকব। একচুল কোথাও নড়ব না। যতক্ষণ আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্য়পাল সাক্ষাৎ করে, আমাদের দুটো প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন।'