কলকাতা: দিন ক্ষণ ঘোষণা না হলেও, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে উত্তাপ বাড়ছে রাজ্যে (Panchayat Elections 2023)। সেই আবহেই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। জানিয়ে দিলেন, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কারা টিকিট পাবেন তা তিনিই ঠিক করবেন। সদ্য সমাপ্ত সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের কাছে বিধানসভা নির্বাচনে জেতা আসন হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। তার পরই এই ঘোষণা মমতার (TMC)।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজে প্রার্থী বাছবেন বলে জানিয়ে দিলেন মমতা
রবিবার কালীঘাট থেকে ফোনে মুর্শিদাবাদের জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয় মমতার। সেখানে সাগরদিঘিতে পরাজয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। আর সেখানেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজে প্রার্থী বাছবেন বলে জানিয়ে দেন মমতা। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এ দিন মুর্শিদাবাদে তিন জনের কমিটিও গড়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। ওই কমিটিতে থাকছেন মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান, জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান এবং জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের সংগঠনে ভাঙন ধরেছে। শনিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর উপস্থিতিতে তৃণমূলে ছেড়ে প্রায় ১৫০০ জন হাত-শিবিরে যোগ দেন। রবিবারও সেই ধারা অব্য়াহত থেকেছে। জলঙ্গি, লালবাগ, ডোমকল , রেজিনগরের প্রায় ১ হাজার তৃণমূল কর্মী কংগ্রেসে যোগ দিলেন। একই পথে হেঁটেছেন বিজেপি সমর্থিত ৫০টি পরিবারের সদস্যরাও। সেই আবহেই পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নিজে প্রার্থী বাছার সিদ্ধান্ত মমতার।
তৃণমূল সর্বধর্ম সমন্বয়ের পক্ষে, জানালেন মমতা
৬৮ শতাংশ সংখ্য়ালঘু অধ্য়ুষিত সাগরদিঘির উপনির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের প্রশ্ন, সংখ্য়ালঘু ভোটাররা কি তাহলে তৃণমূলের থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করেছেন? এই প্রেক্ষাপটে, এ দিন তৃণমূল নেত্রী জানান, তৃণমূল সর্বধর্ম সমন্বয়ের পক্ষে। সংখ্যালঘুরা যেহেতু তৃণমূলকে ভালবাসেন, তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে নানা ভাবে। সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মমতা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, CAA, NRC এবং ইউনিফর্ম সিভিল কোড বাংলায় কার্যকর হতে দেবেন না।
এর মধ্যেই রবিবার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগ করবেন প্রিসাইডিং অফিসারকে। জেলাশাসক হবেন পঞ্চায়েত নির্বাচনী আধিকারিক। শুধুমাত্র রাজ্য সরকারি কর্মচারী, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী বা পৌরসংস্থার কর্মচারীদের নিয়েই ভোটগ্রহণের দল গঠন। প্রার্থী বা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কাউকে ভোটদানকারী দলের সদস্য হিসাবে নিয়োগ নয়। যে ব্লক এলাকায় নির্বাচন, সেই অঞ্চলের আবাসিক ঠিকানার ভোটদানকারী দলের সদস্য নয়।