বৈদ্যবাটি: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) যত এগিয়ে আসছে, বঙ্গ রাজনীতির পারদ ততই চড়ছে। সেই আবহে এ বার বামেদের নিশানা করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায় (kalyan Banerjee)। কল্যাণের দাবি, বর্তমান তৃণমূল সরকারের আমলে মানুষ থানা থেকে তদন্তকারী সংস্থা, যেখানে খুশি গিয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন সাধারণ মানুষ। ২০১১ সালের আগে মুখ খুললে লাশ পড়ে যেত বলেও অভিযোগ করেন কল্যাণ (Hooghly News)।


বৈদ্যবাটির সভা থেকে এই মর্মেই বামেদের আক্রমণ করেন কল্যাণ।


রবিবার বৈদ্যবাটির সভা থেকে এই মর্মেই বামেদের আক্রমণ করেন কল্যাণ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "কেউ দোষ করলে আজ থানা পর্যন্ত যাওয়ার অধিকার আছে। ইডি পর্যন্ত যাওয়ার অধিকার আছে সকলের। বাংলার মানুষের আজ কথা বলার অধিকার আছে। ২০১১ সালের আগে কথা বলতে গেলে লাশ পড়ে যেত। গ্রাম বাংলায় কথা বলতে গেলে মেরে শেষ করে দিত। বাংলার মানুষকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ই স্বাধীনতা দিয়েছে।"


বাম দুর্গ ভেঙে ২০১১ সালেই বাংলায় ক্ষমতা আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল তৃণমূল। সেই তৃণমূলেরই সাংসদ কল্য়াণ। বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে গরুপাচার, কয়লা দুর্নীতি মামলায় জেরবার শাসকদল। সিবিআই, ইডি একাধিক মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে। আবার মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে নিয়ে মন্তব্য করে সম্প্রতি গ্রেফতার হন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি। তাতে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর রোধের অভিযোগ উঠেছে। 


আরও পড়ুন: Malda : ভূমিক্ষয় রোধে লাগানো গাছ নদীবাঁধ থেকে চুরি হচ্ছে অবাধে ! অশনি সঙ্কেত মালদার মানিকচকে


সেই আবহেই এ দিন বৈদ্যবাটির সভায় বামেদের আক্রমণ করেন কল্যাণ। তবে তাঁর এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, "বহুদিন কল্।াণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম খবরে কেউ শুনছিলেন না। উনি আছেন কোথায়, থাকেন কোথায়, কী করছেন, টের পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই কিছু একটা বলে সংবাদমাধ্যমে উঠে আসতে হবে। সবই শুধু শান্তনু, কুন্তল আর কুণাল, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায়! তিনি তো নেই! এখন খবরে আসতে আজেবাজে কথা বলছেন। তবে শুনে রাখুন, বাম আমলে যে কোনও মানুষ থানায় এফআইআর করতে পারতেন, আজ তা হয় না।"


পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন


রাজনৈতিক এই তরজার মধ্যেই রবিবার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগ করবেন প্রিসাইডিং অফিসারকে। জেলাশাসক হবেন পঞ্চায়েত নির্বাচনী আধিকারিক। শুধুমাত্র রাজ্য সরকারি কর্মচারী, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী বা পৌরসংস্থার কর্মচারীদের নিয়েই ভোটগ্রহণের দল গঠন। প্রার্থী বা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কাউকে ভোটদানকারী দলের সদস্য হিসাবে নিয়োগ নয়। যে ব্লক এলাকায় নির্বাচন, সেই অঞ্চলের আবাসিক ঠিকানার ভোটদানকারী দলের সদস্য নয়।