কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: রাজ্য বিধানসভার (West Bengal Assembly) বিরোধী দলনেতা (Leader of the opposition) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (Election Commission) অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল কংগ্রেস। রবীন্দ্র সরোবর থানার (Rabindra Sarobar Police Station) ওসি-র ঘরে ঢুকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে। 


রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শুভেন্দুর


গত বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসনে জয় পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকার ও রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করে চলেছেন শুভেন্দু। কয়েকদিন আগেই রাজ্যে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকের শূন্যপদে নিয়োগ না হওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, অস্বচ্ছতার অভিযোগে এসএসসি-র নিয়োগের প্যানেল বাতিল হয়েছে। 


মহার্ঘ ভাতা নিয়ে সরব শুভেন্দু


রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। মহার্ঘ ভাতা ৩১ শতাংশ থেকে বেড়ে হল ৩৪ শতাংশ। অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীরা এখন থেকে তাঁদের মূল বেতনের ৩৪ শতাংশ ডিএ পাবেন। তার ফলে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র ফারাক আরও বেড়ে হল ৩১ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতে বাংলার সরকারি কর্মীরা বঞ্চিত, রীতিমতো অঙ্ক কষে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে সরব হন শুভেন্দু। বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্য সরকারের দেওয়া ডিএ-র সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তুলনা করে তাঁর ট্যুইট, ‘রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-এর অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’


৩৫৬ ধারা জারির দাবি শুভেন্দুর


এর আগে রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়েও রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু। কাশ্মীরের মতো পশ্চিমবঙ্গেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভার কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে তুলে নেওয়ার দাবি জানান বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘আশা করি প্রধানমন্ত্রী ৩৫৬ ধারা জারি করবেন। বিধানসভা জিইয়ে রেখে ৬ মাস ৬ মাস করে ৩৫৬ ধারা জারি করা হোক। তারপর বিধানসভায় যাদের মেজরিটি আছে তাদের ফিরিয়ে দিন। কাশ্মীরে যা করেছে। কিছুদিনের জন্য আইন-শৃঙ্খলাকে কেন্দ্রের হাতে নিয়ে নেওয়া উচিত।’


শুভেন্দুকে পাল্টা আক্রমণ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।