কলকাতা: শহরে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগে কাউন্সিলরের ছেলে গ্রেফতার। ৯৯ ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে গ্রেফতার। ৯৯ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের ছেলে শুদ্ধসত্ত্ব বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। গাড়ির ধাক্কায় এক বৃদ্ধা জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আহত বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাড়িটিকে রবীন্দ্র সরোবর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে আপাতত। গাড়ির গায়ে রক্তের দাগও দেখা গিয়েছে। (TMC Councilor Mitali Banerjee)


রবিবার সকালে ৬.৩০টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই আহত বৃদ্ধাকে শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় মিতালির ছোট ছেলে শুদ্ধসত্ত্ব গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এই ঘটনায় বেপরোয়া গাড়ি চালানোর একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জামিনযোগ্য ধারায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে শুদ্ধসত্ত্বকে। আজই আদালতে তোলা হবে তাঁকে। (Kolkata News)


যেখানে দুর্ঘটনা ঘটে, রাস্তার একটি বাম্পারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানা গিয়েছে, বছর ৭০-এর ওই মহিলা রাস্তা পেরোচ্ছিলেন। গাড়িটির একেবারে সামনে চলে আসেন তিনি। গাড়ির সামনের অংশ তাঁর হাতে ধাক্কা মারে। পরে গাড়িটি ধাক্কা মারে অন্য একটি গাড়ির পিছনেও। গাড়িটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রবীন্দ্র সরোবর থানার লকআপে রয়েছেন মিতালির ছেলে শুদ্ধসত্ত্ব।


ফোনে যোগাযোগ করা হলে, মিতালি জানান, সকালে গাড়ি নিয়ে চা খেতে বেরিয়েছিলেন তাঁর দুই ছেলে। গাড়িতে ছিলেন বড় ছেলেও। যদিও গাড়ি চালাচ্ছিলেন ছোট ছেলেই। বিবেকানন্দ পার্কের কাছ থেকে, লেক কালীবাড়ির সামনে দিয়ে যখন সাদার্ন অ্যাভেনিউয়ের দিকে আসছিল গাড়িটি, সেই সময় হালতুর বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা রাস্তা পেরোচ্ছিলেন। উল্টোদিক থেকে আরও একটি গাড়ি আসছিল। ঘাবড়ে গিয়ে কোন দিকে যাবেন বুঝতে পারেননি ওই বৃদ্ধা। সেই সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। কাউন্সিলরের ছেলের গাড়ি ধাক্কা মারে পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আর একটি গাড়িতে। 


দুর্ঘটনার পরই সকলে ছুটে আসেন। শুদ্ধসত্ত্ব নিজেও গাড়ি থেকে নেমে আসেন। তাঁরাই হাসপাতালে নিয়ে যান জখম বৃদ্ধাকে। হাসপাতালে MRI হয়েছে বৃদ্ধার। তাঁর হাতে চোট লেগেছে। এ নিয়ে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে শুদ্ধসত্ত্বকে। গাড়ির গতি সত্যিই বেশি ছিল, না কি মহিলা গাড়ির সামনে চলে আসেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংগ্রহ করা হচ্ছে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। এলাকার মানুষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। যে গাড়িতে ধাক্কা মারেন কাউন্সিলরের ছেলে, তার মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।