বিজেন্দ্র সিংহ, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, উজ্জ্বল মুখোপাধ্য়ায়: রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে এবার দিল্লিতে পৌছল বাংলার তৃণমূল (TMC) বনাম বিজেপি দ্বন্দ্ব। একই দিনে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কৃষি ভবনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলের ধর্নায় ধরপাকড় ঘিরে উত্তাল পরিস্থিতি। তার মধ্যেই রাজধানীতে আলাদাভাবে নজর কাড়ল বাংলার দুই হেভিওয়েট রাজনীতিকের টক্কর।


১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস এবং সড়ক যোজনার টাকা আটকে রাখা নিয়ে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে দিল্লিতে দু'দিনের ধর্না কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের। আর তাকে ঘিরেই বঙ্গ রাজনীতির 'এপিসেন্টার' হয়ে উঠল রাজধানী দিল্লি। মঙ্গলবার দুপুরেই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকা। আর একইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়-শুভেন্দু অধিকারীর বাগযুদ্ধেও কার্যত নড়ে উঠল রাজনীতি।


মঙ্গলবার দিল্লিতে বসে শুভেন্দু বলেন, "মিথ্যে অভিযোগ নিয়ে দিল্লিতে কর্মসূচি করছে তৃণমূল। সবকিছুতেই রাজনীতি করে তারা। দিল্লির কুর্সিতে বসার স্বপ্ন দেখা তৃণমূলের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে জনসমর্থন ফেরাতে মিথ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছে তারা।" অভিষেক জানান, "বিজেপি-র জমিদারির পতন শুরু হবে বাংলা থেকে। আজ দিল্লি থেকে এই কথা বলে গেলাম।"


আরও পড়ুন: TMC Delhi Protests: বকেয়ার অঙ্ক নিয়ে তরজা, বাগযুদ্ধ-কটাক্ষের বৃষ্টি, মঙ্গলে তপ্ত রইল দিল্লি


বাংলার বঞ্চিত মানুষদের প্রাপ্য প্রয়োজনে নিজেদের বেতন থেকে মেটাবেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, "বিজেপি-র জমিদারির পতন শুরু হবে বাংলা থেকে। আজ দিল্লি থেকে এই কথা বলে গেলাম। মোদি যদি রিমোট টিপে টাকা বন্ধ করতে পারেন, তাহলে জনতা রিমোট টিপে মোদিকে পাল্টে দেবেন। তৃণমূলকে যত কাটবে, তত বাড়বে।" অন্য দিকে শুভেন্দু বলেন, "তৃণমূলের তিনটি অ্যাজেন্ডা রয়েছে। পরিবারবাদ, দুর্নীতি এবং তুষ্টিকরণ— এই তিন অ্যাজেন্ডায় চলে এই দল। গুন্ডাদের দল। উন্নয়ন করে না।"


বকেয়ার দাবি নিয়ে দিল্লিতে ধর্না-কর্মসূচির নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি-র। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল হারানো জনসমর্থন ফিরে পেতে চাইছে বলে অভিযোগ করছে তারা। একই ভাবে বাংলা থেকেই বিজেপি-র পতন শুরু হবে বলে দাবি করছে তৃণমূল। দু'মাসের মধ্যে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে ফের দিল্লিতে সভা হবে বলে জানান অভিষেক। এর পাল্টা, তৃণমূলকে গুন্ডাদের দল বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু।