সমীরণ পাল, কলকাতা: তাপস চট্টোপাধ্যায়ের পর সৌগত রায়। রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়কের পর এবার দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুললেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ। গতকাল খড়দায় বিজয়া সম্মিলনীতে গিয়ে সৌগত রায় বলেন, দলের মধ্যে মতভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু মতভেদ প্রকাশ করতে গিয়ে দলকে দুর্বল করলে চলবে না। সামনে নির্বাচন।নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য কাজ করে যেতে হবে। খড়দা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীতে গিয়ে দলীয় কর্মীদের বার্তা দিলেন সৌগত রায়। ভাইরাল ভিডিও। 

Continues below advertisement

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, 'আর ঘরে থাকলে হবে না..' ! দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়াকে 'গণধর্ষণ'কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া RG করে নিহত চিকিৎসকের মা-বাবার

অন্যদিকে, বিজয়া সম্মিলনীতে গিয়ে সভাকক্ষ ফাঁকা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন খড়দায় তৃণমূল বিধায়ক ও মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিলে এখনও কড়া রোদের মধ্যে তিনি দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন। অথচ এখানে চেয়ার ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। দলীয় কর্মীদের আচরণে হতাশার সুর প্রবীণ বিধায়কের গলায়। সভাকক্ষে লোক ধরে রাখতে হলের দরজা বন্ধ করারও নির্দেশ দেন মন্ত্রী। 

উল্লেখ্য, দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে গতকালই মুখ খুলেছিলেন রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্য়ায়। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে গিয়ে বলেছিলেন, দলে যদি শৃঙ্খলা না থাকে, তাহলে সেই দল এগোতে পারে না। দলে বন্ধুত্বপূর্ণ ঝগড়া হতেই পারে। কিন্তু বিজেপি বা বিরোধীদের সঙ্গে ঝগড়া কখনও বন্ধুত্বপূর্ণ হতে পারে না। দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকতেই পারে, সেটা বাইরে প্রকাশ করা ঠিক নয়। বিজয় সম্মিলনীতে দলীয় কর্মীদের বার্তা দেন রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। ভাইরাল হয়েছে ভিডিও। প্রচারের আলোয় আসার জন্য এই ধরনের বিবৃতি, পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে এসবের কোনও প্রভাব নেই, প্রতিক্রিয়া বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যর। 

প্রসঙ্গত, যদি একটা পার্টি খেলা আর মেলার মধ্য়ে চলে যায়, তার পলিটিক্যাল সেন্সটা চলে যায়। সম্প্রতি বরানগরে বিজয়া সম্মিলনীতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করে ফের দলকে অস্বস্তিতে ফেলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়৷ বলেন, যারা ক্ষমতায় আসা পার্টিতে আছেন, তারা কি মনে রাখছে যে এটা শহিদদের পার্টি? সৌগত রায়ের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে বিধতে ছাড়েনি বিরোধীরা। এদিকে, সৌগত রায় খেলা-মেলা নিয়ে বেসুরো হলেও, কুণাল ঘোষের দাবি, জনসংযোগে খেলা-মেলাই সব থেকে বড় মাধ্যম।

'খেলা-মেলা'র সরকার বলে এতদিন কটাক্ষ করত বিরোধীরা। তবে এবার আর কোনও বিরোধী নেতা নন, ওই একই ভাষায় প্রশ্ন তুলে ফের দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়৷ সৌগত রায় বলেন, ' আমাদের মনে রাখতে হবে ৬ মাস পরেই নির্বাচন। জেতাটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। অন্য কিছু এখন করবেন না।'