কলকাতা : পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদে ৫০ কোটি টাকা। প্রচুর সোনা । এ’নিয়ে যখন রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় হচ্ছে, তখন শাসক দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীর সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় ED’কে পক্ষ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
২০১৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলায় বলা হয়, ২০১১ ও ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, শাসক দলের একাধিক নেতার সম্পত্তি ২০১১’র পর থেকে কয়েকগুণ বেড়েছে। কোনও কোনও নেতার সম্পত্তি ১ হাজার গুণ পর্যন্ত বেড়েছে বলে অভিযোগ। এ’নিয়ে CBI তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়।
এই নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছএ বিরোধী পক্ষের কটাক্ষও। এই নিয়ে আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু সহ তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা।
‘পার্থ যা করেছেন, তাতে আমরা লজ্জিত'
তৃণমূলের তরফে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘নির্বাচনী হলফনামায় আয়-ব্যয়ের সব হিসাব দিয়েছি। আয়কর দফতর কোনও পদক্ষেপ করেনি। রোজগার করা, সম্পত্তি বাড়ানো অন্যায় নয়। এটা জনস্বার্থ মামলা নয়, রাজনৈতিক স্বার্থে করা মামলা’ । তৃণমূলের দিকেই একতরফা অভিযোগ কেন তোলা হচ্ছে প্রশ্ন তোলেন ফিরহাদ। তিনি উল্লেখ করেন, ‘অমিত শাহর ছেলে জয় শাহর সম্পত্তির পরিমাণ কত?’ সেই সঙ্গে বাম কংগ্রেসের দিকেও তাঁর আক্রমণের ফলা। ‘বিজেপির বি টিম হয়ে কংগ্রেস-সিপিএম আক্রমণ করছে । অর্ধেক তথ্য প্রকাশ করছেন কেন?’ সেই সঙ্গে তিনি স্বীকার করে নেন, ‘পার্থ যা করেছেন, তাতে আমরা লজ্জিত। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, তৃণমূলের সবাই চোর’
মামলাকারীর আদালতে জমা দেওয়া তালিকায় নাম রয়েছে
- হেভিওয়েট মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম
- ব্রাত্য বসু
- মলয় ঘটকের।
গত সোমবার যখন ইডিকে মামলার পার্টি করার নির্দেশ দেয় আদালত তখন ফিরহাদ হাকিম এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। মলয় ঘটকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও, প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মামলাকারীর দেওয়া তালিকায় নাম রয়েছে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অরূপ রায় এবং প্রাক্তন মন্ত্রী ও শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম দেবেরও। অবশেষে বুধবার এই সংক্রান্ত সব প্রশ্নের জবাব দেওয়া হল তৃণমূলের তরফে। বলা হয়, ‘সম্পত্তি বৃদ্ধির তালিকায় নাম রয়েছে অধীর চৌধুরী, আবু হেনা, সূর্যকান্ত মিশ্রর। নাম আছে অশোক ভট্টাচার্য, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, নেপাল মাহাতোরও। অর্ধ সত্য তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল নেতাদের আক্রমণ করছে সিপিএম-কংগ্রেস। তবে ‘আদালতের রায় নিয়ে মন্তব্য নেই’ ।
ব্রাত্য বসু উল্লেখ করেন, ২০২১ সালে জেতা বিজেপি প্রার্থীদের সম্পত্তির দিকেও নজর থাকবে। আয় বৃদ্ধির তালিকায় নাম রয়েছে ১৩ বাম নেতার । আয় বৃদ্ধির তালিকায় নাম রয়েছে ৯ কংগ্রেস নেতার । সম্পত্তি বৃদ্ধির তালিকায় নাম ৪ বিজেপি নেতারও । তৃণমূলের দাবি এই তালিকায় নাম আছে - - অধীর চৌধুরী
- আবু হেনা
- সূর্যকান্ত মিশ্র
- অশোক ভট্টাচার্য
- কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়
- নেপাল মাহাতো