ঝিলম করঞ্জাই, সন্দীপ সরকার, কলকাতা : সরকার কী লুকোতে চাইছে? গতকালের কালীঘাটের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর, প্রশ্ন তুললেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কেউ কেউ। তবে সেই সঙ্গে ফের রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনাতেও প্রস্তুত তাঁরা। অন্যদিকে এরই মধ্যে নতুন অডিও পোস্ট করে, আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিভাজনের দাবি তুলেছেন কুণাল ঘোষ। যদিও তা মানতে নারাজ জুনিয়র চিকিৎসকরা।
শনিবার জুনিয়র ডাক্তাররা মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছনো সত্ত্বেও, ভেস্তে গেছে বৈঠক। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, শেষ অবধি তাঁরা সব শর্ত মানতে রাজি হলেও বৈঠক হয়নি। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, শেষ অবধি তাঁরা সব শর্ত মানতে রাজি হলেও বৈঠক হয়নি। রাজ্য় সরকার ও জুনিয়র ডাক্তারদের স্নায়ুযুদ্ধ যখন চলছে, তখন রবিবার নতুন একটি অডিও পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ। এই নতুন অডিও পোস্ট করে, আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিভাজনের দাবি তুলেছেন কুণাল ঘোষ। কী আছে সেখানে ? সেখানে দুই জনের কথোপকথন শোনা যাচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে, একটি বিষয় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মতের তফাৎ রয়েছে।
ভিডিও প্রকাশ করে কুণাল ঘোষের দাবি, 'কোনও কোনও মহল চাইছে এই অচলাবস্থাটা থাকুক। কোনও কোনও মহল চাইছেন যে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী অভিভাবকের মতো যে অনুরোধগুলো করছেন, তাতে সাড়া দিয়ে যেন জটটা না খোলে, তারা এই জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে কিছু অংশের আবেগকে বিপথে চালিত করার, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চালিত করার জন্য প্রভাব সৃষ্টি করছেন কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।'
আন্দোলনরত পড়ুয়ারা স্বীকার করে নিয়েছে অডিও পোস্টে শোনা যাওয়া গলা তাদেরই, কিন্তু এতে কুণাল ঘোষ যে বিভাজনের দাবি করেছে, তেমন কিছু নেই সেখানে। মোটামুটি এমন ছিল সেই কথোপকথন।
কণ্ঠ ২ : তোকে, এই যতগুলো ছেলের শাস্তি হবে সব দায়িত্ব তোকে নিতে হবে।
কণ্ঠ ১ : কেন নিতে হবে?
কণ্ঠ ২ : কেন নিতে হবে না? তুই তো আলোচনা চালিয়ে যেতে চাইছিস না...
কণ্ঠ ১ : না না...
কণ্ঠ ২ : নাহলে তুই যদি না যাস...
কণ্ঠ ১ : তুমি যদি সিদ্ধান্তটা না নাও...
কণ্ঠ ২ : তাহলে আমি ডেকেছি কেন?
কণ্ঠ ১ : হ্যাঁ, তাই জন্যই তো...
কণ্ঠ ২ : তাহলে আমি ডেকেছি কেন? আমি বলছি, কী কী adverse জায়গা হতে পারে, সেটা আমার বলে রাখা কর্তব্য।
অডিও ক্লিপ প্রকাশের পর চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেছেন, ' আমি অডিওটা শুনেছি। অডিওটার একটা ভয়েস আমারই। ওটা আমাদের আলোচনার অডিও। এটাও ঠিক। কিন্তু তারপর যেটা বলেছেন, আন্দোলন বিভাজিত না ত্রিবিভাজিত, দ্বিবিভাজিতের তত্ত্ব যিনি এনেছেন, সেই প্রসঙ্গে বলতে চাই যে আমরা যেভাবে আলোচনা করি,সেটা হচ্ছে বিভিন্ন কলেজগুলোতে শুরুতে আলোচনা হয়। ফলে সেখানে বিভিন্ন লোক থাকার ফলে, সেই আলোচনাগুলোকে নিয়ে বিভিন্ন মতপার্থক্য হয়। ' । সবার নজর আপাতত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে