হলদিয়া: দলত্যাগীদের ফেরত নেওয়া, বিজেপি (BJP) থেকে আসা নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো, এ সব নিয়ে দলের অন্দরে অসন্তোষ ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তা নিয়ে এ বার পরিষ্কার বার্তা দিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শনিবার হলদিয়ায় (Haldia) দলের শ্রমিক সংগঠনের সভা থেকে জানিয়ে দিলেন, যাঁরা প্রথম থেকে তৃণমূল করছেন, তাঁরাই টিকিট পাবেন। এমনকি লটারির মাধ্যমে প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার কথাও বলতে শোনা গেল অভিষেককে।
হলদিয়া থেকে কড়া বার্তা অভিষেকের
বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাস তালুকে শনিবার প্রথম সভা করলেন অভিষেক। সেখানে রানিচক সংহতি ময়দানে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সমাবেশে প্রধান বক্তার ভূমিকায় দেখা গেল তাঁকে। সেখানে তিনি বলেন, "কোনও ঠিকাদার আগামী হলদিয়া ভোটে প্রার্থী হবে না। অন্য দল থেকে এই দলে এলে, একজনও টিকিট পাবে না। যাঁরা প্রথম থেকে তৃণমূল করেছেন, তাঁরাই টিকিট পাবেন। রাজ্য জুড়ে সিওডি-তে ২০ শতাংশ করে শ্রমিক প্রতিনিধি লটারির মাধ্যমে জায়গা পাবেন। অন্য দল থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা আর ছড়ি ঘোরাতে পারবেন না।"
দলের মধ্যে যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, সে ব্যাপারে তিন অবগত বলেও জানান অভিষেক। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "আপনাদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের সব কথা শুনেছি। আপনাদের সভার বক্তব্য আমার কাছে এসেছে। আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা জানি। অনুগামী সেজে কারা দলের বারোটা বাজাচ্ছে সব জানি। সভায় আসার পথে ৪-৫ জনকে চিহ্নিতও করেছি। আপনাদের সবার কথা আমায় বলবেন। আত্মিক যোগাযোগ হয়ে গেল।"
আরও পড়ুন: West Bengal: আচার্যর পর এবার কি ভিজিটর পদ থেকেও সরানো হবে রাজ্যপালকে? মিলেছে নবান্নের সবুজ সঙ্কেত
হলদিয়ায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের আশ্রিত শুভেন্দু অনুগামীদেরও নিশানা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, "বাংলায় হেরে দিল্লিতে ডেকে পাঠাচ্ছ। আমরা দরজা খুললে ওদের দল উঠে যাবে। অনেক উদ্বাস্তু পাট্টা পাননি, যাঁরা এখানকার ওয়ার্ডে পাট্টা পাননি, তাঁদের বিষয়টি দেখব। ‘তৃণমূল করতে গেলে ঠিকাদারের পোশাক বাড়িতে খুলে রেখে আসতে হবে। ১০০ দিন সময় দিন, একটাও ঠিকাদার থাকবে না। হয় ঠিকাদারি করুন, নয় তৃণমূল করুন। কোনও দাদার অনুগামী হলে চলবে না।"
ঠিকাদারদের ভোটের টিকিট নয়, জানালেন অভিষেক
এ দিন ঠিকাদারদেরও কড়া বার্তা দেন অভিষেক। জানিয়ে দেন, ১২ ঘণ্টার কাজ করিয়ে শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টার মাইনে দেওয়া বরদাস্ত করা হবে না। ঠিকাদাররা শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড দেবেন না, তা বরদাস্ত করবেন না তিনি। যাঁরা এসব করছেন, তাঁদের শ্রীঘরে পাঠানোর বন্দোবস্ত করবেন।