প্রকাশ সিন্হা, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা : সোমবারই অনুব্রত মণ্ডলকে ( Anubrata Mondal ) দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য ইডিকে ( ED ) অনুমতি দিয়েছিল দিল্লির রাউস অ্য়াভিনিউ কোর্ট। আর ঠিক সেইদিনই এক বছর আগের খুনের চেষ্টার অভিযোগে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা করেন এই তৃণমূলকর্মী।



যার প্রেক্ষিতে বীরভূমের ( Birbhum ) জেলা তৃণমূল সভাপতিকে মঙ্গলবার ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে এই ট্য়ুইস্ট রাজ্য় রাজনীতিতে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল এবার ED কী করবে?

এবার ED কী করবে? 

 পুলিশ হেফাজতে থাকা অনুব্রতকে কীভাবে তারা দিল্লি নিয়ে যাবে? তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে? পুরো বিষয়টা নিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে তারা। ইতিমধ্যে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশ জানানো হয়েছে।
সেই নির্দেশনামার কপি আসানসোল জেলে পৌঁছে দেওয়া হবে।

২৭ ডিসেম্বর । ফের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হবে অনুব্রতকে। ওইদিন ইডি-র অফিসাররা আদালতে উপস্থিত থাকবেন কি না, তা নিয়েও আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে সংস্থা সূত্রে দাবি। 


৩ দিন পরেও, অভিযোগকারীর বয়ান রেকর্ড করেনি পুলিশ

অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলায় ৩ দিন পরেও, অভিযোগকারীর বয়ান রেকর্ড করেনি পুলিশ। খোদ অভিযোগকারী শিবঠাকুর মণ্ডল এ কথা জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের আগে দুবরাজপুরের তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে ভিতর থেকে দরজায় তালা দিয়ে অনুব্রত তাঁর গলা টিপে খুনের চেষ্টা করেন। অনুব্রতর নিরাপত্তা রক্ষী উপস্থিত থাকলেও, তিনি নির্বিকার ছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগকারীর দাবি, ওই নিরাপত্তা রক্ষী সায়গল হোসেন নন। পাশাপাশি অভিযোগপত্রে ঘটনার দিন মে মাসের গোড়ায় বলে দাবি করা হলেও, এবিপি আনন্দর প্রশ্নের জবাবে অভিযোগকারী জানান, বিধানসভা ভোটের আগে ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনা ঘরে-বাইরে কাউকে জানিয়েছিলেন? শিবঠাকুর মণ্ডলের দাবি, সাহস করে জানাতে পারেননি। তাহলে অনুব্রতকে গ্রেফতারের ৯৮ দিন পর, অভিযোগ জানালেন কেন? অভিযোগকারীর দাবি, গীতাপাঠ করে সাহস সঞ্চয়ের পর থানায় গিয়েছেন। 

রাতে ৩টি রুটি, ছোলার ডাল ও বেগুন পোড়া অনুব্রতর পাতে


অন্যদিকে, চারমাস পর জেলায় ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলবার রাত কেটেছে দুবরাজপুর থানায়। আলাদা ঘরে রাখা হয়েছিল দলীয় কর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ধৃত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে।


দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে স্নান করে, লুচি-তরকারি খেয়ে আসানসোল জেল থেকে বেরিয়েছিলেন অনুব্রত। দুবরাজপুর থানায় পৌঁছে খান ভাত, ডাল, পোস্তর বড়া, আলুপোস্ত। রাতে ৩টি রুটি, ছোলার ডাল ও বেগুন পোড়া খেয়েছেন কেষ্ট। অনুব্রতর দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন এক পুলিশ কর্মী, জানিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়।