মুর্শিদাবাদ: তৃণমূল নেতা বাসির মোল্লাকে (TMC Leader Basir Molla) একদিনের জেল হেফাজত দিল বহরমপুর আদালত (Berhampore Court)। আগামীকাল ফের তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। ধৃত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির থেকে একটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।


কী জানা গেল?
বাসির মোল্লার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ২৫ (১-বি) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। শুনানির সময় ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে হাজির ছিলেন না সরকারপক্ষের আইনজীবী। পুলিশের পক্ষ থেকেও কোনও আবেদন জানানো হয়নি, খবর বহরমপুর আদালত সূত্রে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত পক্ষের জামিনের আবেদন খারিজ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় কোর্ট। তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযোগ এই প্রথম নয়। গত নভেম্বরে বারাসাতের শাসনে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিপুল অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ মেলে অভিযোগ। অভিযুক্ত সুকুর আলিকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, গভীর রাতে শাসনের খামার রামেশ্বরপুর এলাকায় হানা দেয় পুলিশ। তাদের দাবি, সুকুর আলি নামে ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। এসটিএফ সূত্রে জানা যায়, ধৃতের ভেড়ি ও মাটির কারবার রয়েছে তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য সুকুর আলির। যদিও এর পিছনে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র দেখে তৃণমূল। তৃণমূল সরকারের সাফল্য শুধু বেআইনি অস্ত্র কারবারে, কটাক্ষ করে বিজেপি। এর আগে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে মিষ্টি ব্যবসার আড়ালে পর্দাফাঁস হয়েছিল অস্ত্র কারবারের। তার পর উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। ঘটনার দিন দুপুরে দেউপুকুরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দীর্ঘক্ষণ চলে অবরোধ। পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে তৃণমূল নেতাকে ফাঁসানোর অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। দেউপুকুরের স্থানীয় বাসিন্দা মণিরুল ইসলাম বলেন, 'আইসি বিজেপির কাছ থেকে টাকা খেয়ে এসে এসব করছে।' বিরোধীরদের চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বও। বারাসত ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি শম্ভু ঘোষ বলেন, 'আমার যেটা দৃঢ় ধারণা, বিরোধীরা চক্রান্ত করে আমাদের দলটাকে দমন করার জন্য এটা করেছে, এটা আমাদের দৃঢ় ধারণা, এটাই আমরা বলছি।'
কিন্তু তার পর আবার নাম অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধারে নাম জড়াল আর এক তৃণমূল নেতার। বস্তুত, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে সার্বিক ভাবেই এই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা প্রায় প্রত্যেক দিন শোনা যাচ্ছে। এর পর নির্বিঘ্নে পঞ্চায়েত ভোট হবে কী করে? প্রশ্ন অনেকের।


আরও পড়ুন:শেষপাতে সুস্বাদু ডেজার্ট, আম দিয়ে চটজলদি বাড়িতেই তৈরি আইসক্রিম