কলকাতা: পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদার (Jhalda) কংগ্রেস কাউন্সিলর (Congress Councillor) খুনের (Murder) প্রত্যক্ষদর্শীর রহস্যমৃত্যুর (Mystery death) পর পুলিশের (Cops) বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি। তপন কান্দুর (Tapan Kandu) ভাইপো মিঠুন কান্দুর দাবি, খুনের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে নিরঞ্জন বৈষ্ণব ও আরও একজনকে দিয়ে অভিযোগপত্র লেখায় ঝালদা থানার (Jhalda Police Station) পুলিশ। জোর করে লেখানো হলেও নিরঞ্জনের অভিযোগপত্র পুলিশ জমা দেয়নি বলে অভিযোগ। তাই নিয়েই আতঙ্কে ভুগছিলেন নিরঞ্জন।
নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মোবাইল ফোন ঘিরে রহস্য
তপন কান্দুর খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এবার মোবাইল ফোন ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। মৃতের পরিবারের দাবি, গতকাল থেকেই নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। সকালে দেহ উদ্ধারের পর খোঁজ মিলছে না মোবাইল ফোনের। ফোনে কি কেউ হুমকি দিয়েছিল নিরঞ্জনকে? সেই কারণেই ফোন গায়েব? উঠছে প্রশ্ন।
পুলিশের চাপে আত্মঘাতী, দাবি পরিবারের
নিরঞ্জনের পরিবারের দাবি, তপন কান্দুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। খুনের দিন কংগ্রেস কাউন্সিলরের সঙ্গে হাঁটতেও বের হন। তপন কান্দু খুন হওয়ার পর পুলিশ নিরঞ্জনকে বারবার ডেকে পাঠিয়ে নির্যাতন শুরু করে। ফলে আতঙ্কে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। পুলিশের চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মঘাতী হন তিনি।
বিরোধীদের আক্রমণ কুণাল ঘোষের
এই ঘটনা নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে ঘনিষ্ঠজনকে ডাকাই তো স্বাভাবিক। তদন্ত তো ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে চলে গিয়েছে। তাহলে পুলিশ চাপ সৃষ্টি করছিল, এই প্রশ্ন আসছে কেন? সুপরিকল্পিতভাবে বিষয়টির অভিমুখ বদলানোর চেষ্টা হচ্ছে। যাঁরা এই রাজনীতি করছেন, তাঁদের লক্ষ্য যে তৃণমূলের বদনাম করা সেটা স্পষ্ট। এই মৃত্যু নিশ্চিত খুবই দুঃখের। কিন্তু মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি অত্যন্ত দুঃখজনক। তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য পরপর যে ঘটনা ঘটছে তাতে ষড়যন্ত্র স্পষ্ট। এই ষড়যন্ত্রে একজোট হয়ে গেছে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম। সিপিএম, কংগ্রেস মুখে বিজেপি-বিরোধিতা করলেও এই ষড়যন্ত্রে বিজেপির হাত ধরছে। বাংলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে বিজেপি ডেকে আনলে কংগ্রেস, সিপিএম তার হাত শক্ত করছে। মানুষের সমর্থন নেই, তাই সরকারকে বিব্রত করার জন্য এই অরাজকতার রাজনীতি করছেন।’