কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য় করলেন শাসক দলের তারকা-বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। তিনি বলছেন, 'এই ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকাটাও শক্ত। তো সেক্ষেত্রে হয়তো আরেকটা অপশন হতেও পারে সেটা হচ্ছে একটু রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলাম। সবাই একটা তো জায়গা চান।' 

প্রেক্ষাপট

তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সভা প্রতি বছরই আলো করে থাকেন টালিগঞ্জের অভিনেতা-অভিনেত্রী-পরিচালকরা। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে আলাপচারিতা-প্রণাম করা, নানা ভূমিকায় মঞ্চে দেখা যায় তাঁদের। এ বছরও তার ব্য়তিক্রম হয়নি। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, "বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে টলিউডের প্রত্য়েকে এসেছেন। সবার নাম বলতে গেলে হয়তো আমাকে ১০০টা নাম বলতে হবে। কিন্তু আমি শ্রাবন্তী, সায়ন্তিকা থেকে শুরু করে রচনা, জুন থেকে শুরু করে লাভলি, শতাব্দী থেকে শুরু করে সবাইকেই দেখতে পাচ্ছি।" এদের মধ্য়ে কেউ তৃণমূলের প্রথম বারের বিধায়ক-কেউ তৃণমূলের নেতা-কর্মী।

এই আবহেই টালিগঞ্জের শিল্পীদের তৃণমূলের দিকে ঝোঁকা প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য় করলেন তৃণমূলের ৩ বারের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী! তিনি বললেন, "সবাই একটা তো জায়গা চান। ক্ষমতা চান। যদি সেটা তাঁর ইন্ডাস্ট্রিতে যদি জায়গাটা ডোমেনটাই ছোট হয়ে গিয়ে থাকে, সাম্রাজ্যটাই ছোটো হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে তিনি আরেকটা বিকল্প চাইতেই পারেন। বা আংশিকভাবে চাইতে পারেন। পুরোপুরি না গিয়েও চাইতে পারেন। দু'টো মিলিয়েই হয়তো হতে পারে। ১১ বছর ধরেই দেখছি এই ভিড়। যে কোনও শিল্পীই চাইবেন বড় ভিড়। তাঁকে সার্ভাইভ করতে হবে। এর মধ্য়ে বাঁচতে হবে।"

এবারের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূলের এক ঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রী বিধায়ক-সাংসদের পাশাপাশি দেখা গেছে বিজেপি ছেড়ে আসা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্য়ায়, রিমঝিম মিত্রদেরও। ছিলেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু, ভরত কল, ভিভান ঘোষ থেকে শ্রীতমা ভট্টাচার্য, প্রিয়া পাল সহ টেলিভিশনের একগুচ্ছ পরিচিত মুখও। চিরঞ্জিত বলেন, "টেলিভিশন থেকে বেশি প্রতিনিধিত্ব ছিলেন বলে মনে হল আমার দেখে। আবার কয়েকজন ছিলেন যাঁরা ওই দলে গেছিলেন একসময়, আবার এই দলে চলে এসেছেন। এরকম আছেন। শ্রাবন্তী আছেন। রিমঝিম আছেন।" 

২১ জুলাইয়ের মঞ্চে ছোট পর্দা-বড় পর্দার মুখেদের ছড়াছড়ি হলেও, উপস্থিত ছিলেন না চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "তৃণমূলের... আমার মনে হয় না প্রয়োজন আছে। সেটা প্রথমে হয়তো থাকতে পারে। '১১-তে আমায় যখন বলেছিলেন যে আমার একটা সিট দরকার সেটা আপনি আনতে পারেন। মিমি যখন জিতেছেন, নুসরত বিরাট লক্ষ লক্ষ ভোটে জিতেছেন। কিন্তু এখন আমাদের যে অবস্থা ২০-২৫ বছরে মমতা ছাড়া আমি কিছু দেখছি না। দেবকে দিয়ে হিরণকে আরেকটা স্টারকে মারা যায়। লকেটকে চাপা দেওয়া যায় রচনাকে দিয়ে। ওভারঅল লাগে না।"