কলকাতা: ভারতের চন্দ্রযান অভিযান নিয়েই এবার প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি (Idris Ali)। কটাক্ষের সুর তাঁর গলায়, তিনি বলেন, 'যে টাকায় চন্দ্রাভিযান, সেই টাকায় উন্নয়ন করা সম্ভব। গরিব মানুষ খেতে পাচ্ছে না, দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে। হাততালি কুড়ানোর চেষ্টা মোদি সরকারের।' এতে কী লাভ হবে তা তিনি বুঝতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। 


এমন মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলিকে কুয়োর ব্যাঙয়ের সঙ্গে তুলনা বিজেপি বিধায়কের। যদিও নিজের দলের বিধায়কের বক্তব্যের একেবারে উল্টো সুর শোনা গিয়েছে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের গলায়। চন্দ্রাভিযান রাজনীতির ঊর্ধ্বে, গোটা ভারতের গর্ব, মন্তব্য মদন মিত্রর। ইতিমধ্য়েই ইসরোর মিশন চন্দ্রযান ৩-কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


আর মাত্র কিছুক্ষণ, চাঁদের মাটিতে পা রাখার অপেক্ষায় ভারত। চাঁদের দক্ষিণ মেরু সন্নিহিত বন্ধুর এলাকায় নামবে 'বিক্রম'। ইতিহাসের দোরগোড়ায় ভারত, চাঁদের বুকে পা দেওয়া সময়ের অপেক্ষা। কয়েকটি ধাপে গতি কমিয়ে চাঁদের বুকে নামতে চলেছে ল্যান্ডার 'বিক্রম'। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভার্চুয়ালি চন্দ্রযানের লাইভ অবতরণ দেখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের চন্দ্রাভিযান যাতে পাকিস্তানেও দেখা যায় তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন ইমরানের মন্ত্রিসভার প্রাক্তন মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরি। 


অবতরণের শেষ ধাপ:
আজ ভারতীয় সময় সন্ধে পৌনে ৬ টা থেকে শুরু হবে অবতরণ প্রক্রিয়া। চাঁদের মাটিতে ৩০ কিলোমিটার ওপর থেকে নামবে বিক্রম। নামার সময় সমান্তরাল গতিবেগ থাকবে প্রতি সেকেন্ডে ১.৬৮ কিলোমিটার। চাঁদের মাটি থেকে ৭.৪ কিলোমিটার ওপরে যখন ল্যান্ডার পৌঁছবে, তখন তার সমান্তরাল গতিবেগ হবে ৩৫৮ মিটার প্রতি সেকেন্ড। সেই সময় বিক্রমের ওপর থেকে নীচে নামার গতিবেগ থাকবে ৬১ মিটার প্রতি সেকেন্ডের কম। এরপর চাঁদের মাটি থেকে ৬.৮ কিলোমিটার উঁচুতে যখন চন্দ্রযান থাকবে, তখন সমান্তরাল গতিবেগ কমে হবে ৩৩৬ মিটার প্রতি সেকেন্ড। ওপর থেকে নীচে নামার গতিবেগ বদলে হবে সেকেন্ডে ৫৯ মিটারের কম। এরপরে চাঁদের মাটি থেকে ১৩০০ মিটার ওপরে যখন পৌঁছবে বিক্রম, তখন সমান্তরাল এবং উল্লম্ব গতিবেগ দুইই এসে পৌঁছবে শূন্যে। এরপর সফট ল্যান্ডিং করবে চন্দ্রযান তিন। 

আরও পড়ুন : 'চন্দ্রাভিযান রাজনীতির ঊর্ধ্বে, গোটা ভারতের গর্ব', মন্তব্য মদন মিত্রের