উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা:
'বহরমপুরে এবার আর কেউ অধীর চৌধুরীকে জেতাতে পারবেন না', কংগ্রেস সাংসদকে চ্যালেঞ্জ জানালেন কান্দির তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকার। সঙ্গে কটাক্ষ, গত বার বিজেপিকে ম্যানেজ করে, সিপিএমকে ধরে জয়। তবে এবার আর তা হবে না। 


কী বললেন অপূর্ব?
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির ভোটের লড়াইয়ে গত বার পাশে ছিলেন অপূর্ব সরকার। সেই তিনিই এখন এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ছেন? বহরমপুর-সহ প্রায় গোটা বাংলা জানে, অধীর রঞ্জন চৌধুরীর তুলনা দিতে গিয়ে প্রায়ই 'রবিনহুড'-এর অনুষঙ্গ টানা হয়। সেই তাঁকে, তাঁরই খাসতালুক বলে পরিচিত জায়গায় এমন চ্যালেঞ্জ? কান্দির বিধায়কের যুক্তি, 'বিধানসভা, পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ যে রায় দিয়েছেন, তার ভিত্তিতেই এ কথা বলছি। আর রবিনহুডের ভাবমূর্তি তো তাঁর আর নেই। সেই রবিনহুডের ভাবমূর্তির যাঁরা কারিগর, তাঁরা এখন তৃণমূলের নেতা, মাথা।' এতেই শেষ নয়। অপূর্ব সরকারের আরও অভিযোগ, মানুষের সঙ্গে অধীর চৌধুরী কোনও যোগাযোগ রাখেন না। ভোটের ছ'মাস আগে থেকে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। শুধু তাই নয়। ভোট চলাকালীন বিজেপির পায়ে ধরে ভোটে জিতেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, এমনও দাবি করলেন কান্দির তৃণমূল বিধায়ক। তবে সেই ঘটনার এবার আর পুনরাবৃত্তি হবে না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তিনি। এবিপি আনন্দকে বললেন, 'এখন ওঁর লোকসভা এলাকায় অন্তত সাড়ে ৩ লক্ষ ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন অধীর চৌধুরী।' সঙ্গে সংযোজন, '৭ জন বিধায়ক হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটেও জোট বেসামাল।' সব মিলিয়ে বহরমপুর অধীর-হীন হওয়ার ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত শোনাল তাঁরই প্রাক্তন সতীর্থকে। 
তবে তিনি কি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন? সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট কিছু বললেন না। তাঁর উত্তর, 'প্রার্থী হওয়া বিষয় নয়, জরুরি হল তৃণমূলের জয়লাভ।'


'ভিন্ন সুর' কংগ্রেসে...?
হালেই কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা কৌস্তভ বাগচীর কথায় বঙ্গে কংগ্রেসের অন্দরে 'ভিন্ন সুর' শুনতে পেয়েছে রাজনৈতিক মহল। বিশেষত, ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পর তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে আরও একবার আলোড়ন তৈরি হয়ে যায়। কৌস্তভ লিখেছিলেন,


'কলকাতায় চোর, মুম্বইতে সাধু।
ফলাফল = ধূপগুড়ি


যাই হোক সমুদ্র জিতেছে।
পুকুর হারলে ক্ষতি কি!'