হুগলি :  অনুব্রত মণ্ডলের ( Anubrata Mondal )  পর সওকত মোল্লা (Saokat Molla )। এবার হুগলির ফুরফুরা শরিফে তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে উঠল চোর স্লোগান।                                  


রবিবার রাতে পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক। ফেরার পথে, সওকত মোল্লাকে দেখে চোর  স্লোগান দিতে শুরু করেন স্থানীয়দের একাংশ। হঠাৎ কেন ফুরফুরায় আগমন তৃণমূল বিধায়কের, সে প্রশ্নও তোলেন তাঁরা। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে যান সওকত মোল্লা। এই নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।            


অন্যদিকে,  পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে আনা হয়েছে ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে।  বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এলাকায় দলের কাজকর্ম চালাবেন আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদরা। একদা শক্ত ঘাঁটি, এখন কার্যত তৃণমূলের গলার কাঁটা!  গত বিধানসভা নির্বাচনে আইএসএফের নৌশাদ সিদ্দিকির-এর কাছে পরাজয়, সব কিছুর নেপথ্য়ে অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে, তৃণমূলের তীব্র কোন্দলের তত্ত্ব। আপাতত, সেই দ্বন্দ্ব সামলাতেই সওকতকে দায়িত্ব দিল তৃণমূল।                


রবিবার, নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র ভাঙড়ে দাঁড়িয়ে শাসক শিবিরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন , ' নতুন কেউ দায়িত্ব নিয়ে যদি ভাঙড়ের সুনামকে দুর্নামে পরিবর্তন করে, ভাঙড়ের নামকে খারাপ করে, ভাঙড়ে হানাহানি করে, ভাঙড়কে নিয়ে মিসইউজ করে, তাহলে কিন্তু আমরা ভাঙড়ের মানুষকে নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রতিরোধ গড়ে তুলব। তবে একটা কথা সওকত মোল্লা সাহেব দায়িত্ব পেয়েছেন, যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বা অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় দায়িত্ব পেতেন, আমার মনে হয় বেশি ভাল হত। শান্তিপূর্ণভাবে ফেয়ার ইলেকশন হলে শাসককে খুঁজে পাওয়া যাবে না।' এর জবাব দিতে দেরি করেননি সওকত।


গত বিধানসভা ভোটে সংখ্য়ালঘু অধ্য়ুষিত ভাঙড়ে হেরেছিল তৃণমূল। কয়েকদিন আগে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আরেক বিধানসভা কেন্দ্র, সাগরদিঘির উপনির্বাচনেও বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে পরাস্ত হন তৃণমূল প্রার্থী। যার জেরে প্রশ্ন উঠছে, সংখ্যালঘুরা কি তৃণমূলের থেকে মুখ ফেরাচ্ছে? যদিও সেই তত্ত্ব মানেননি সওকত। সওকত ম্যাজিকে কি দখলে থাকবে ভাঙর ? সকলের চোখ এখন সেদিকেই। 


আরও পড়ুন :


হুগলি-জুড়ে শান্তনুর 'সাম্রাজ্য়', মোবাইল ফোনের দোকানদার থেকে এমন উত্থান কীভাবে?