ঘটকপুকুর : এবার সওকত মোল্লার গাড়ি ঘিরে উঠল 'চোর' স্লোগান। ঘটকপুকুরে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক। ঘটকপুকুরে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির কর্মসূচি চলছিল। এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় সওকতের গাড়ি ঘিরে 'চোর' স্লোগান দেওয়া হয়। 'চোর' স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ISF কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনা নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক। সওকত মোল্লা বলেন, "নৌশাদ সিদ্দিকিকে এটুকু বলব-আব্বাসকে এই কথা বলব, খেলা তুমি শুরু করলে। শেষটা কিন্তু আমরা করব। তুমি যদি আমার দিকে ঢিল ছোড়, আমি নিশ্চয়ই তোমার দিকে রসগোল্লা ছুঁড়ব না। এটা অন্তত তোমার মনে রাখা উচিত। তুমি যে ভাঙড়ে আগুন জ্বালাতে চাইছ, আমরা সেই আগুনে ঘৃতাহুতি দেব না। সেই আগুনে জল দিয়ে আমরা সেই আগুনটাকে শান্ত করার চেষ্টা করব। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আগামী ৭ তারিখে ভাঙড় বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এক ঐতিহাসিক প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত হবে।"
পাল্টা জবাব দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্দুল মালেক বলেন, "ভিড়ের মধ্যে নিজে ঢুকে যাওয়া এটা তো আমি মনে করি এক ধরনের প্ররোচনা। অশান্তি তৈরি করার জন্য। বুদ্ধিমান-ভদ্র সভ্য মানুষ কোনও দিন এ ধরনের প্ররোচনা তৈরি করবে না। যারা শান্তি বজায় রাখার পক্ষে তারা এ ধরনের কাজ করবে না।"
এদিকে গত মঙ্গলবার ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১১টা, ঘটকপুকুরের দিক থেকে সায়েন্স সিটির দিকে আসছিল ক্য়ানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লার কনভয়। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় বামনঘাটার কাছে আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিকের লেনে ঢুকে যায় কনভয়ে থাকা কলকাতা পুলিশের একটি পাইলট কার। সজোরে গাড়িটি ধাক্কা মারে একটি মোটরবাইকে। প্রত্য়ক্ষদর্শীদের দাবি, গাড়িটি এতটাই জোরে ধাক্কা মারে, যে মোটরবাইক আরোহী গাড়ির ওপরে উঠে যান। এরপর একটি লাইটপোস্টে সজোরে ধাক্কা মেরে, দুমড়ে মুচড়ে যায় কলকাতা পুলিশের গাড়িটি। মহম্মদ তাজউদ্দিন (৪৭) নামে মোটরবাইক আরোহীকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম-এর ট্রমা কেয়ার সেন্টারে। কিছুক্ষণ পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনায় ন্যায়বিচার চাইছে মৃতের পরিবার। তাদের প্রশ্ন, যেখানে সাধারণ মানুষ ট্রাফিক আইন ভাঙলে সঙ্গে সঙ্গে মামলা রুজু হয়, সেখানে রেজিস্ট্রেশন বাতিল, ফিটনেসের মেয়াদ ফুরোনো গাড়ি তৃণমূলের বিধায়কের কনভয়ে চলছিল কীভাবে ? পুলিশ বলেই কি ছাড় ? প্রশ্ন তুলেছে সওকত মোল্লার কনভয়ের পাইলট কারের ধাক্কায় মৃত বাইক আরোহীর পরিবার। তাদের প্রশ্ন, দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই ছিল রুবি জেনারেল হাসপাতাল, তাহলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাইক আরোহীকে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ঘোরানো হল কেন ?