দুর্গাপুর : এবার দুর্গাপুরে (Durgapur) গিয়ে বিজেপি নেতা (BJP Leader) দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) নিশানা তৃণমূল বিধায়ক সোহম (TMC MLA Soham)। দিলীপ ঘোষকে ‘অশিক্ষিত, দুটাকার গুন্ডা’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। "মা-বোনেরা চড়-থাপ্পড় মারা শুরু করলে দিলীপকে বাংলা ছাড়তে হবে", বলেও নিশানা করেন চণ্ডীপুরের (Chandipur) তৃণমূল বিধায়ক।


সোহমের নিশানায় দিলীপ-


সোহম বলেন, "দু'টাকার গুন্ডা। সে বলছে, আমার হাতে তরোয়াল থাকলে সবাই ভয় পায়। আমি বলব, আপনি ভয় পেয়েছেন বলে আপনি তরোয়ালটা নিয়ে নিয়েছেন। আমাদের তরোয়ালের প্রয়োজন নেই। দশভূজা আমাদের মা। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, উন্নয়ন আছে...সেটাই আমাদের কাছে সবথেকে বড় অস্ত্র। কী কথা, কী শিক্ষা। মানুষের ব্যবহার, তাঁর কথাতেই তো শিক্ষার পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁর মতো কুরুচিপূর্ণ কথা, অশিক্ষিত একটা মানুষ। মমতা বন্দ্যোাধ্যায়ের নেতৃত্বে গণতন্ত্র আছে বলেই, আপনারা আমাদের নেত্রীর সম্পর্কে এরকম অপপ্রচার করতে পারছেন। মিটিং-মিছিল করতে পারছো। কোনও দিন যদি আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে কোনও সন্ত্রাসবাদী বাংলায় থাকবে না। " 


দিনকয়েক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে গো ব্যাক স্লোগান শোনেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। তিনি প্রাতর্ভ্রমণে বেরোনোর পরই তাঁকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বেলদায় যে গেস্ট হাউসে ছিলেন দিলীপ, তার সামনেও চলে বিক্ষোভ। ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন রাজ্য পাচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তোলেন বিক্ষোভকারীরা। পাল্টা হুঙ্কার দেন দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন,  সকাল সকাল চোরেদের মুখ দেখতে হল আমায় ! এরপর তাঁর মুখ থেকে শোনা যায় , ' বুকে পা তুলে দেব ' ! দিলীপের এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায়।   


আজ সেই প্রসঙ্গেই সোহম বলেন, "ওঁর মতো একটা অশিক্ষিত মানুষের থেকে এটাই কিন্তু অভিপ্রেত। তাঁর কাছ থেকে শুভবুদ্ধি, ভাল মানুষের জন্য কথা আজ অবধি শুনতে পাইনি। বুকে লাথি উনি মারছেন, সবাইকে মারবেন, গলায় পা তুলে দেবেন । মা-বোনেরা যদি এক হয়ে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন, ওঁর বাংলায় থাকায় দায় হয়ে যাবে।"


আরও পড়ুন ; ' বুকে পা তুলে দেব ' , ১০০ দিনের কাজের টাকা চেয়ে স্লোগান তুলতেই দিলীপের হুঙ্কার