সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর :  মিমি, নুসরত, জুন মালিয়া-সহ দলের একঝাঁক বিধায়ক, সাংসদকে আক্রমণের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর, নিরাপত্তা কমানো হল রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর ( TMC MLA Srikanta Mahato ) । ২৪ ঘণ্টা মাত্র একজন নিরাপত্তা রক্ষী পাবেন ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী। থাকছে না হাউস গার্ড ও এসকর্ট। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। 


 মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা  ?
এরই মধ্যে আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল। দলের সাংসদ-বিধায়কদের আক্রমণের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এবার শালবনিতে মন্ত্রীর বাড়িতে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি ! গেটে সাঁটা সাদা কাগজ। সেখানে লেখা, মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষেধ। দলের একঝাঁক বিধায়ক, সাংসদকে আক্রমণের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর মন্ত্রীকে শো কজ ও তাঁর নিরাপত্তা কমানো হয়েছে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার মন্ত্রীর বাড়ির দরজায় এই নির্দেশিকা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।


দলের কাজে কলকাতায় আছি : শ্রীকান্ত মাহাতো
এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফোনে মন্ত্রী জানান,' নির্দেশিকার ব্যাপারে জানা নেই, দলের কাজে কলকাতায় আছি' । রবিবার ভাইরাল হয় ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী ও শালবনির তিনবারের তৃণমূল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোর একটি ভিডিও। যেখানে মিমি, নুসরত, জুন মালিয়া-সহ একঝাঁক নেতা-নেত্রী দলে লুটেপুটে খাচ্ছে বলে মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ' দলকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী তাঁরা বুঝতে চায় না। খারাপ লোককে তাঁরা ভাল বলছে। তাহলে আমরা বাঁচব কী করে? খারাপ লোককে খারাপ বলতে হবে। ভাল লোককে ভাল বলতে হবে। ' 

কী বলেছিলেন শ্রীকান্ত মাহাতো ?
তিনি আরও বলেছিলেন, ' খারাপ লোকের কথা শোনা চলবে না, ভাল লোকের কথা শুনতে হবে। খারাপ লোকের কথা শুনছে। এখানে যদি দেবাদিদেব মহাদেব, উমা সোরেন, সন্ধ্যা রায়, মুনমুন সেন, জুন মালিয়া, সায়নী, সায়ন্তিকা, মিমি, ঝিমি, নুসরত, মুসরত, উত্তরা সিংহ, নেপাল সিংহ, সন্দীপ সিংহ যারা লুটেপুটে খাচ্ছে, তারা পার্টির সম্পদ হয়। তাহলে আর পার্টি করা যাবে না। ' 

এই কথা তিনি কাদের সামনে বলছেন ? এই ভিডিওতে দেখা যায়, খোলামেলা পরিবেশে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি এই কথা বলেন। এর জন্য দলের তরফে শো কজ করা হয় শ্রীকান্তকে। শো কজের প্রেক্ষিতে তিনি দুঃখপ্রকাশ করেছেন বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি।