ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : লোকসভা ভোটের (Loksabha Poll ) আগে তৃণমূল ( TMC ) বিধায়ক পদ ছাড়ছেন তাপস রায় ( Tapas Roy )। তৃণমূল কংগ্রেসও ছাড়ছেন তাপস রায়। তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সকালে যান ব্রাত্য বসু ও কুণাল ঘোষ। ২ জনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তাপস। আর তারপরই বিস্ফোরক সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। 


বারবার তাঁর বক্তব্যে উঠে এল ২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারির কথা। সেদিন তাঁর বাড়িতে ইডি অভিযান হয়েছিল। অথচ তাঁর বাড়ির অনতিদূরে স্বামী বিবেকানন্দর বাড়ির সামনে সেই নিয়ে দলের একাংশের মধ্যে উচ্ছ্বাসও দেখা যায়। সেই খবর তিনি পান কয়েকজন সাংবাদিক ও যুব তৃণমূলের কারও কারও মারফত। তাতে তিনি মর্মাহত হয়েছিলেন। তাপসের অভিযোগ, এই অভিযানের পর দলের তরফে কেউ ফোন করেননি তাঁকে। 


তাঁর উষ্মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীরবতা নিয়েও। তাপসের অভিযোগ, 'শেখ শাহজাহানকে ইডি টার্গেট করেছে এমন কথাও মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমায় কিছু বলেননি'।  'আমি ভারাক্রান্ত', সাংবাদিক বৈঠকের শেষে জানান তাপস রায়। 


তিনি আরও বলেন, তাঁর বাড়িতে ইডি অভিযান হয়েছে। কিন্তু দল তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। ফোন করেনি। তাঁর পরিবারের কাউকে ফোন করেনি দলের উচ্চপদস্থ কেউ । এদিন একের পর এক ক্ষোভ উগরে দেন তাপস রায়। তাপসের বিস্ফোরক উক্তি, 'এত দুর্নীতি, তারপর সন্দেশখালি, এগুলো আমাকে তাড়না দিয়েছে।'   তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা এদিন উষ্মাপ্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়েও। 



তাঁর বাড়িতে সকালেই ব্রাত্য বসু ও কুণাল ঘোষ এসেছিলেন । অথচ সেই সময়ই দলের তরফে কুণালের কাছে শোকজ নোটিশ আসে বসে দাবি তাপস রায়ের। এই সাংবাদিক বৈঠক করেই তিনি রওনা দেন বিধানসভার উদ্দেশে। সেখানে গিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যান তিনি। জানা যাচ্ছে, সোমবারই তৃণমূল ছাড়বেন তিনি। এরপর যে তিনি দল পরিবর্তন করবেন, সেই জল্পনাও তুঙ্গে। তবে এ নিয়ে সোমবার তিনি মন্তব্য করেননি।       


তিন বছর আগে বরানগর থেকে জিতলেও তাপস রায়কে মন্ত্রী করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরোক্ষে অসন্তোষের সুর শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যাকে নিয়ে নানা মন্তব্য শোনা গিয়েছে তৃণমূল বিধায়কের কণ্ঠে।            


আরও পড়ুন, আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত, ভোটের ময়দানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়