মহেশতলা: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে বর্ধিত সেই টাকা অ্যাকাউন্ডে ঢুকবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়ানোর কার্যকারণ এদিন খোলসা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, মূল্যবৃদ্ধি যে জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে টাকা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন সুবিধাপ্রাপ্ত মহিলারাই। তাঁদের কথা ভেবেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন অভিষেক। (Abhishek Banerjee)


রবিবার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের মহেশতলায় সভা করেন অভিষেক। সেখানেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়ানো নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, "লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি বেড়ে চলেছে। মোদি সরকারের একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্তের জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এখন আকাশছোঁয়া। মা-বোনেরা বলছিলেন আমাকে, 'দিদিকে বলুন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাটা বাড়িয়ে দিতে'। বিধবাভাতা, বার্ধক্যভাতা নিয়েও বলছিলেন, যাতে অল্প হলেও বাড়িয়ে দেওয়া যায়।" (Lakshmir Bhandar)


এদিন অভিষেক জানান, রান্নার গ্য়াস আগে ৪০০ টাকায় পাওয়া যেত, এখন ১২০০ টাকায় কিনতে হয়। ৮০ টাকার সর্ষের তেলের দাম এখন ২০০ টাকা। পাতিলেবু, আদা, পেঁয়াজ, সব কিছুই আগুন। ৫০ টাকার পেট্রোলের দাম এখন ১০০, ৪০ টাকার ডিজেল ৯০, কেরোসিন তেলও ৮০ টাকা। তাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়িয়ে যাওয়ার আবেদন আসছিল তাঁদের কাছে। সেই মতোই টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান অভিষেক।


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: ‘আমরা যতদিন আছি, কেউ বাংলাকে ভাতে মারতে পারবে না’, বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা অভিষেকের


সম্প্রতি রাজ্য বাজেটেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আওতায় ৫০০-র পরিবর্তে টাকা বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করার ঘোষণা হয়। তফসিলি জাতি এবং উপজাতি মহিলারা যেখানে ১০০০ টাকা করে পেতেন, তাঁদের টাকা বাড়িয়ে ১২০০ টাকা হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে সেই টাকা সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। এই টাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও অবদান নেই, রাজ্য সরকার নিজের কোষাগার থেকে, ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা সকলকে দিচ্ছেন বলে জানান অভিষেক। 


অভিষেক জানিয়েছেন, ১০০ দিনের কাজ থেকে একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে হেরে গিয়ে গায়ের জোরে সেই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। গত দু'বছরে সেই নিয়ে একাধিক বার বৈঠক, আন্দোলন, মিছিল করেছেন তাঁরা। আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন। কিন্তু কেউ কথা কানে তোলেনি। তাই নিজেদের কোষাগার থেকেই সেই টাকা মেটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১০০ দিনের কাজ করেও যাঁরা টাকা পাননি, সকলের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেবে রাজ্য। এখানে কারও, কোনও সহযোগিতা নেই বলে জানিয়েছেন অভিষেক।