আলিপুরদুয়ার: 'ধর্ম বাড়িতে করব, ভোট দেব নিজের অধিকারের স্বার্থে। এটা ঠিক করুন', জনসংযোগ যাত্রার তৃতীয় দিনে আলিপুরদুুয়ারের (Alipurduar) মঞ্চ থেকে বার্তা তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (TMC MP Abhishek Banerjee)। সঙ্গে কড়া বার্তা, 'মানুষ যাঁকে সার্টিফিকেট দেবেন, তাঁর পিছনে দল থাকবে। সর্বশক্তি দিয়ে তাঁকে জেতাবে।' অভিষেকের দাবি, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যাতে আগামী পাঁচ বছর মাথা নিচু করে কাজ করেন সেটি নিশ্চিত করতেই তিনি এসেছেন। এটিই তৃণমূলের 'নবজোয়ার'।
আর যা...
তৃণমূল সরকারের কর্মকাণ্ড তুলে ধরার পাশাপাশি বিরোধী শিবিরের নেতাদের এদিনও একহাত নিয়েছেন অভিষেক। তাঁদের উদ্দেশে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের বার্তা, 'আমি তো ৬০ দিন রাস্তায় আছি, আপনার ছ'দিন থাকুন।' তবে একই সঙ্গে আলিপুরদুয়ারের মানুষকেও অভিষেকের আহ্বান, 'আপনাদেরও বুঝতে হবে, ২০১৯-র নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারে আমরা আশানুরূপ ফল করিনি। আমরা লোকসভায় হেরেছি। লোকসভায় যাঁকে জিতিয়েছিলেন, তাঁর টিকি খুঁজে পাননি। পরবর্তীকালে বিধানসভা ভোটে, আলিপুরদুয়ারের মানুষ ৫টি বিধানসভা আসনেই বিজেপিকে জিতিয়েছে। কারণ কী? আপনারা হয়তো ভেবেছিলেন, আগামীদিনে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি মিলে আলাদা রাজ্য গড়বে বিজেপি এবং আপনারা অধিকার পাবেন। এখন আপনারা বুঝতে পারছেন, বিজেপিকে ভোট দেওয়া আর খাল কেটে কুমির আনা এক।' এর পরই তাঁর আর্জি, ভবিষ্য়তে যেন নিজেদের অধিকারের কথা মাথায় রেখেই ভোট দেন আলিপুরদুয়ারের মানুষ। অভিষেকের স্পষ্ট অভিযোগ, অতীতে ধর্মের নামে বিভাজন করে ভোট আদায় করেছিল বিজেপি। কিন্তু রান্নার গ্যাসের দামবৃদ্ধি থেকে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি এই বিষয়গুলির কথা মাথায় রাখা দরকার, মনে করান তিনি। আরও মনে করান, এখন ভারতের নানা প্রান্তে স্রেফ ধর্মের নামে নৈরাজ্য, অশান্তির সার্বিক বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। তাঁর দাবি, মানুষ ধর্মের কথা ভেবে ভোট দিয়েছিলেন। তাই দেশব্যাপী এখন সেই উন্মাদনা চলছে। মানুষ ১০০ দিনের কাজের টাকার কথা ভেবে ভোট দেননি, খেদ অভিষেকের। তাঁর কথায়, 'আপনার বাড়ির টাকা, মোদি সরকার আটকে রেখেছে'। তাই আর্জি, 'আগামী দিনে পঞ্চায়েতে ভোটে এমন প্রার্থী বাছুন, যে দিল্লির বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়তে পারে।'
গোলমাল...
দিনদুয়েক আগে, অভিষেক চলে যেতেই কোচবিহারের সাহেবগঞ্জ, গোঁসানিমারির সভাস্থলে গোপন ব্যালট বাক্স ঘিরে হাঙ্গামা শুরু হয়। গোপন ব্যালট পেপার ছিনতাই করার অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। গোঁসানিমারির সভায় তৃণমূলের দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায়। আবার সাহেবগঞ্জের সভায় ভাঙা হয় ব্যালট বাক্স। পরিস্থিতি দেখে ফের 'পুনর্বিবাচন'-এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।গোপন ব্যালটে পঞ্চায়েত ভোটের পছন্দের প্রার্থীর নাম জানাতেই এই নির্বাচন।
আরও পড়ুন:রামনবমীতে হিংসা, অশান্তি নিয়ে মামলা শুভেন্দুর, NIA তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের