পূর্ণেন্দু সিংহ: "সিপিএমের হাতে ধরা পড়ে এরা সবাই ফিনিশ হয়ে গেছে।" শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্যই করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC MP Kalyan Banerjee)। ফের জুনিয়র চিকিৎসকদের নিশানা করে আক্রমণ করলেন তিনি।
আরজি করের ঘটনাকে (RG Kar doctor death protest) কেন্দ্র করে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের কটাক্ষ করে এই মন্তব্য করলেন তিনি। জুনিয়র চিকিৎসকদের তীব্র আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, "কোনও প্রমাণ দিতে না পেরে ওরা ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। সিপিএমের হাতে ধরা পড়ে ওরা সবাই ফিনিশ। থ্রেট কালচারের কথা মুখে বললে হবে না। তার প্রমাণ চাই। বলছে কাঁচিতে মরচে পড়েছে আর গ্লাভসে রক্তের দাগ। কোনটা রক্ত আর কোনটা কেমিক্যাল তাই জানে না।"
এপ্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলন, "ডাক্তাররা যদি কাউকে মনোমত অভিযুক্ত করতে চায় তা তো হতে পারে না রে ভাই। আইন বলে একটা জিনিস আছে। ইমোশন দিয়ে তো আর কিছু হতে পারে না রে ভাই। আইন বলে তো একটা জিনিস আছে। অভিযোগের স্বপক্ষে ওরা কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেছি যে ডাক্তারদের যেন শুভবুদ্ধি দেয়। থ্রেট কালচার সম্পর্কিত যে চিঠি ওরা দিয়েছে তা সম্পূর্ণ ফেক। কে থ্রেট কালচার দিয়েছে? কবে দিয়েছে? ডাক্তাররা ছেলেগুলো ভাল। কিন্তু, সিপিএমের পাল্লায় পড়ে ওরা সবাই শেষ হয়ে গেছে। সিপিএম এমনিতেই শেষ হয় গেছে। তাই ওরা জুনিয়র চিকিৎসকদের ধরে ভেসে উঠতে চেয়েছিল। কিন্তু, সিপিএম নিজেরা শেষ হয়ে গেছে জুনিয়র চিকিৎসকদের বুদ্ধি দিয়ে ওদেরও শেষ করে দিয়েছে। থ্রেট কালচারের বিষয়ে প্রমাণ চাই রে ভাই। কিন্তু, প্রমাণ ওরা কিছুই দিতে পারেনি। কাঁচিতে বলছে মরচে ধরে গেছে। গ্রাম বাংলায় একটা কথা আছে, নাচতে না জানলে উঠোন বেঁকা। কীভাবে পাশ করেছিল তা ভগবানই জানে। ওরা তো ঠিক করে কাঁচিও ধরতে পারে না। তাই এখন বলছে কাঁচিতে মরচে ধরেছে। ওরা যে ডাক্তার হয়েছে কোনটা কেমিক্যাল আর কোনটা রক্ত সেটাই ভালো করে জানে না । ওদের জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এখন যাঁরা জুনিয়র ডাক্তার আছেন তাঁদের বাইরের কোনও রাজ্য বিশেষ করে দিল্লির মতো জায়গায় ফের একবার পরীক্ষা দেওয়া উচিত। পরীক্ষা দিয়ে আগে পাশ করা উচিত তারপর জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে কাজ করা উচিত।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।