কলকাতা: বিধানসভা উপনির্বাচনেও তৃণমূলের জয়জয়কার পশ্চিমবঙ্গে। বিধানসভা আসনের ছয়টিতেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে তারা। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, কেউ কোথাও দাঁত ফোটাতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে সর্বভারতীয় রাজীনীতিতেও সমীকরণ বদলের ডাক দিলেন তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি বিরোধী I.N.D.I.A জোটের নেত্রী হিসেবে ধরার দাবি তুললেন তিনি। (Kalyan Banerjee)
শনিবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে, আর তাতে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের চেয়েও বেশ কিছু জায়গায় ভাল ফল করেছে তৃণমূল। ছয়টি আসনই নিজেদের ঝুলিতে পুরেছে, বিজেপি-র থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে মাদারিহাটও। জাতীয় স্তরে I.N.D.I.A শিবিরের অংশ সিপিএম এবং কংগ্রেস খাতাই খুলতে পারেনি। আবার ভিন্ রাজ্যের নির্বাচনেও আশানুরূপ ফল হয়নি কংগ্রেস, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে), ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (শরদ পওয়ার), সমাজবাদী পার্টির। (Mamata Banerjee)
সেই পরিস্থিতিতে রবিবার সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন কল্যাণ। তাঁর বক্তব্য, "কংগ্রেস-সহ সব বিরোধীদের বার্তা, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কিছু নেই। মানুষের আশা, ভরসা, বিশ্বাস, সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ৬-০ ফল হয়েছে। আগামীতে বাংলায় বিরোধী দলনেতাও হবে না, ৩০ আসনও মিলবে না। গোটা ভারতে কংগ্রেস এবং অন্যরা যখন পিছিয়ে পড়েছে, অহং বিসর্জন দিয়ে, দলের অস্তিত্ব বজায় রেখে, বিরোধী জোটের নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে আনা উচিত। এখানে ইগোর জায়গা নেই, ব্যর্থতা স্বীকার করে নিতে হবে। সকলকে আবেদন করব, মেনে নিন মমতা ছাড়া কিছু হবে না মমতাকে নিয়েই আগামী দিনে ভারত লড়াই করবে।"
যদিও এ নিয়ে কল্যাণকে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়। তাঁর কথায়, "আগে নিজের দল সামলান, পরে অন্যদের কথা বলবেন। একটা উপনির্বাচনে জিতে মনে করছেন সব দখল করে নেবেন। এত সোজা নয়। জ্ঞানের বাণী বরং দলকে বোঝান। দলে কারা যে কালীঘাট, কারা ক্যামাক স্ট্রিট, তা বোঝান।"
তবে I.N.D.I.A জোটের অন্দরে নেতৃত্ব বদলের দাবি আজকের নয়। আগেও তৃণমূলের তরফে মমতাকে সামনে রেখে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গতি আনার দাবি আগেও তুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এমনকি I.N.D.I.A জোটের নামকরণও তাঁর, এমন মন্তব্যও করেন মমতা। সেই আবহেই ফের জাতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী জোটের মুখ হিসেবে মমতাকে এগিয়ে আনার দাবি তুললেন কল্যাণ।