শ্রীরামপুর: আন্দোলনরত চিকিৎসকদের এবার হুঁশিয়ারি দিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC MP Kalyan Banerjee)। কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের ডাক্তারি পরীক্ষাতেই বসতে দেওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করলেন তিনি। কোন্নগরে যে চিকিৎসকদের জন্য রোগীর মৃত্যু হয়েছে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করারও দাবি করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ।


বৃহস্পতিবার এপ্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আজ যে ডাক্তাররা সুপ্রিম কোর্টে বলার পরেও কাজে যোগ করল না তাঁদের মানসিকতা খুব পরিষ্কার। তাঁরা তাঁদের ইগো, তাঁদের গোঁ নিয়ে চলছেন। তাঁরা বাংলার মানুষের সেবা করতে আসেননি। পরিষেবা দিতে আসেননি। এরা ডাক্তার হওয়ার আনফিট। যাঁরা একমাসের বেশি সময় ধরে স্ট্রাইক করে ট্রিটমেন্ট দেননি। তাঁদের ডাক্তার করা উচিত নয়। আমি সরকারের কাছে আবেদন করব যে এদের ডাক্তারি পরীক্ষায় বসতে দেওয়া উচিত নয়। এই স্ট্রাইক অবৈধ। যে দুর্নীতি ধরা পড়েছে তার বিচার হবে। যেখানে যে দুর্নীতি করছে তার বিচার হবে। কিন্তু, তা বলে এই নয় ডাক্তাররা যে অমানবিক কাজ করেছে, ডাক্তাররা যে স্ট্রাইক করেছে তা অসাংবিধানিক। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা ভারতবর্ষের সংবিধানে ২১ ধারাকে লঙ্ঘিত করছে।"


বুধবারই মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির আন্দোলনরত চিকিৎসকদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার হুঁশিয়ারি দিলেন একজন তৃণমূল সাংসদ। ভরতপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বুধবার বলেছিলেন, "পাবলিক যদি মরে তাহলে ডাক্তাররা কেন নিরাপদে থাকবে?" এই প্রশ্ন তিনি করেছিলেন। জুনিয়র ডাক্তারদের ঘেরাও করার কথা পর্যন্ত তিনি বলেছিলেন।


শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই হুঁশিয়ারি সম্পর্কে চিকিৎস সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, "হ্যাঁ, সকলকে ডাক্তারি পরীক্ষায় বসতে দেবেন না। রাজ্যের তো ডাক্তার দরকার নেই। কারণ, ডাক্তার অভীক দে, ডাক্তার বিরুপাক্ষ বিশ্বাস, ডাক্তার সন্দীপ ঘোষের মতো ডাক্তার তো আছেন। দলের সম্পদ হিসেবে আছেন। কল্যাণবাবুর কোনও অসুস্থতা না হোক আমরা চাই। কিন্তু, যদি হয় তাহলে তিনি যেন এনাদের দিয়েই চিকিৎসা করান এটুকু আমরা দেখতে চাই। বাকি সাধারণ মানুষের আর কোনও চিকিৎসকের দরকার নেই। আর কোন্নগরের রোগী মৃত্যু নিয়ে কল্যাণবাবু সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছেন। এমনিতে উনি কুকথা বলতে অভ্যস্ত। ওনার কথার উত্তর দেওয়া মানে সময় নষ্ট। উনি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছেন। রাজ্য সরকারের কাছে এই ধরনের কোনও তথ্য নেই। সরকারের তরফে ডেঙ্গুর কোনও তথ্য দেওয়া হয় না। কতজন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিল। কতজন মারা গেছিল তার কোনও তথ্য দেওয়া হয় না। সারা মাসে কত মৃত্যু হয় তার কোনও তথ্য নেই। প্রতিটি মৃত্যু আমাদের উদ্বেলিত করে। প্রতিটা মৃত্যু চিকিৎসক হিসেবে আমাদের দুঃখিত করে। কাউকে বাঁচাতে না পারলে আমাদের মনখারাপ হয়। কিন্তু, কল্যাণবাবু এসব বুঝবেন না।"  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: "পুরোটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটক", জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক না হওয়ায় কটাক্ষ শুভেন্দুর