সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়ার শ্যামপুরে মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচাতে গিয়ে বেধড়ক মার বাবাকে। পরে মৃত্যু হয় তাঁর। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হল আরও ১ জন।


আরও গ্রেফতার:
দশম শ্রেণির ছাত্রীর বাবাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে গ্রেফতার আরও ১> ধৃতের বিরুদ্ধে খুন ও পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশের হাতে ২ জন গ্রেফতার হয়েছে। আরও এক অভিযুক্ত পলাতক।


কী অভিযোগ:
পরিবার সূত্রে খবর, অন্যান্য দিনের মতো রবিবার সন্ধ্যায় টিউশন পড়তে গিয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্রী। রাতে ফেরার সময় তাঁকে আনতে যাচ্ছিলেন বাবা। কিশোরীর অভিযোগ, সেই সময় রাস্তা আটকে ২ ভাই সহ স্থানীয় তিন যুবক তার শ্লীলতাহানি করে। মেয়ের চিৎকার শুনতে পেয়ে ছুটে যান বাবা। পরিবারের দাবি, বাবাকে অন্ধকার মাঠে টেনে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে তিনজন। এলাকার বাসিন্দারা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে প্রথমে ভর্তি করেন শ্যামপুরের একটি হাসপাতাল পরে রেফার করা হয়ে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে। সোমবার রাতে সেখানেই মারা যান তিনি। শ্যামপুর থানায় ৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। 


পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া জানিয়েছেন, খুন ও পকসো সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও ধৃতের স্ত্রীর দাবি, কোনও মারধরের ঘটনাই ঘটেনি। মদ খাওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে মারা যান ওই ব্যক্তি। মঙ্গলবার শববাহী গাড়ি গ্রামে ঢুকতে যেতেই বাগনান শ্যামপুর রোড আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, দিনের পর দিন এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বাড়লেও কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের। 


শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, 'এ রাজ্যে পুলিশ কিছু করে না। আমি বিষয়টা নিয়ে খোঁজখবর নেব।' সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'যা হয়েছে খুবই নিন্দনীয় বিষয়। রাজ্যে নারী সুরক্ষা নেই।' ঘটনার নিন্দা করে যথাযথ পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, 'অনভিপ্রেত ঘটনা। এই ধরনের ঘটনা কখনও বাঞ্ছনীয় নয়।'


এর আগে ২০২০ সালে ২৩ জুন একই রকম ঘটনা ঘটে হাওড়ার বাগনানে। মেয়ের শ্লীলতাহানি রুখতে গেলে মাকে সিঁড়ি থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে মারা যান মহিলা।


আরও পড়ুন: পশ্চিমী ঝঞ্ঝায় থমকে উত্তুরে হাওয়া, মাঘে দেখা নেই হাড়কাঁপানো ঠান্ডার!