নয়াদিল্লি ও কলকাতা: রাজ্য-রাজ্যপাল বিতর্ক এবার সংসদে। ‘বাংলার রাজ্যপালকে (Governor Jagdeep Dhankhar) অপসারণ করুন, সংসদীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে রাজ্যপালকে সরান।’ বাজেট অধিবেশনে ভাষণ শেষে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (President Ramnath Kovind) কাছে কাছে আর্জি লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (TMC MP Sudip Banerjee)। সংসদ ভবন (Parliament) ছেড়ে বেরনোর সময় কোবিন্দকে এই অনুরোধ করেন সুদীপ। ভাষণ শেষ করে যখন সংসদ সদস্যদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি সৌজন্য বিনিময় করছিলেন, তখন সুদীপ তাঁকে এই অনুরোধ করেন। রাষ্ট্রপতি উত্তরে কী বলেছেন, তা জানা যায়নি। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ওই সময় ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্গাইয়া নাইডুও।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতিই রাজ্যপালের নিয়োগকারী এবং তাঁকে অপসারণ বা বদলিও করেন রাষ্ট্রপতি। তাই তাঁকেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে সরানোর অনুরোধ করলেন সুদীপ। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তাঁরা শীর্ষস্তরে তাঁদের দাবির কথা জানিয়ে রাখলেন। দেখা হবে, কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আগেই জানা গিয়েছিল, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সংসদে প্রস্তাব আনছে তৃণমূল (TMC)। রাজ্যপালের (Governor Jagdeep Dhankhar) অপসারণ চেয়ে সংসদে প্রস্তাব আনতে পারে রাজ্যের শাসক দল। বিধানসভায় রাজ্যপালের আক্রমণের পরে সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল ‘সাংবিধানিক পদে থেকেও কর্তব্যে গাফিলতি’র অভিযোগ তুলে অপসারণের প্রস্তাব সংসদে আনতে পারে তৃণমূল। সূত্রের খবর, রাজ্যসভায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে পারেন সুখেন্দু শেখর রায়।
রাজ্যপালের সঙ্গে নানা ইস্যুতে রাজ্যের জোরাল সংঘাত সামনে এসেছে। এরইমধ্যে কয়েকদিন আগে কালীঘাটে বাজেট অধিবেশনের আগে দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের শেষে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, রাজ্যপালের ভূমিকা ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। তাঁর কার্যকলাপ দেখে মনে হচ্ছে, রাজ্য সরকারকে বিব্রত করার জন্যই তাঁকে পাঠানো হয়েছে। নানা ইস্যুতেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটছেন রাজ্যপাল। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালের বিষয়টি সংসদের আসন্ন অধিবেশনে দলের সাংসদরা সরব হবেন বলেও ইঙ্গিত মিলেছিল।