সমীরণ পাল, হাবড়া : এবার তৃণমূলেও (TMC) পিকনিক-পলিটিক্স (Picnic Politics)। পুরভোটকে সামনে রেখে প্রাক্তন পুর প্রশাসক শঙ্কর আঢ্য ও তৃণমূলের এক ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরের উদ্যোগে বনগাঁর একাধিক ওয়ার্ডে পিকনিকের আয়োজন করা হয়। বিজেপির কটাক্ষ, সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে পিকনিক দেখেই অনুকরণের চেষ্টা তৃণমূলের।


 পিকনিকের আয়োজন ভোটের বাক্সে প্রভাব ফেলবে না বলেই দাবি বিজেপির (BJP)। অন্যদিকে, অশোকনগরে একাধিক ক্লাব ও যুব তৃণমূলের ব্যানারে আয়োজিত পিকনিকে যোগ দেন তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। গাইলেন গান। বিজেপির দাবি, পুরভোটের আগে টাকা ছড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। বিনোদনের সঙ্গে রাজনীতিকে গুলিয়ে ফেলছে বিজেপি, পাল্টা কটাক্ষ বিধায়কের।

আরও পড়ুন :


শান্তনু ঠাকুরের পর এবার দিলীপ ঘোষের পিকনিক ! ফেললেন ছিপ, ধরলেন মাছ


অন্যদিকে, বিজেপির সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)  প্রতিদিনই ঘনিষ্ঠদের নিয়ে পিকনিক করছেন। শুক্রবারও সেই ধারা অব্যাহত রাখেন তিনি। এদিনও তিনি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার উত্তর বাগদায় পিকনিক করেন। সাংসদ ছাড়াও, সেখানে ছিলেন তাঁর ভাই, বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর এবং বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল। 


গত ২৫ জানুয়ারি খড়গপুরের ওয়ালিপুর এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে পিকনিক করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পিকনিকের ফাঁকে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও সারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। পিকনিকের ফাঁকে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও সারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেখানেই, শান্তনু ঠাকুরদের পিকনিক করা নিয়ে পাশে দাঁড়ান দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন , ' জানি না কে বিদ্রোহী কে কী। সবাই পার্টির লোক পার্টিতেই আছেন। একসঙ্গে যে কেউ পিকনিক করতে পারে। আমরা শীতের সময় সব জায়গায় কার্যকর্তাদের নিয়ে পিকনিক করি। কে কীভাবে দেখছেন জানি না। কার্যকর্তারা এক জায়গায় মিলিত হয়ে পিকনিক করলে সেখানে কিছু দোষ দেখি না আমি।' সব মিলিয়ে, বিজেপির পিকনিক নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।