কলকাতা: কড়া পদক্ষেপ করা হবে না বলে আশ্বাস রাজ্যের। আর তাতেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট প্রত্যাহার করতে রাজি হলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। সোশ্যাল মিডিয়ো পোস্টটি প্রত্যাহার করলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে না বলে প্রস্তাব দেয় রাজ্য সরকার। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পোস্ট তুলে নিতে রাজি হলেন সুখেন্দুশেখর। (Sukhendu Sekhar Roy)


আর জি কর কাণ্ডে গোটা দেশ যখন উত্তাল, প্রতিবাদে মুখর সকলে, সেই সময় সুখেন্দুশেখর মুখ খুলেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, 'CP এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক CBI. কারা, কী কারণে আত্মহত্যার গল্প রটিয়েছিল? কেন তিন দিন পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল স্নিফার ডগ? সেমিনার হলের দেওয়াল কেন ভাঙা হল? এরকম শতাধিক প্রশ্ন আছে, দু’জনকে হেফাজতে নিক CBI. ওঁদের মুখ খোলান'। (RG Kar Medical Student Death Case)


সুখেন্দুশেখরের ওই মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় তৃণমূলের অন্দরেই। তাঁর মন্তব্য়কে সমর্থন করেন না বলে জানান কুণাল ঘোষ। কুণালের বক্তব্য ছিল, টআর জি কর কাণ্ডে আমিও বিচার চাই। কিন্তু সিপি-কে নিয়ে যে দাবি উঠছে, তার বিরোধী আমি। উনি সবরকম চেষ্টা করেছিলেন বলেই খবর রয়েছে। সিপি নিজের দায়িত্ব পালন করছিলেন, তদন্ত ইতিবাচক পথেই এগোচ্ছিল। এই ধরনের পোস্ট দুর্ভাগ্যজনক, তাও আবার আমার সিনিয়র নেতার কাছ থেকে'।


সেই নিয়ে জলঘোলার মধ্যেই, ১২ ঘণ্টার মাথায় রবিবার সকালে সুখেন্দুশেখরকে নোটিস পাঠায় লালবাজার। জিজ্ঞাসাবাবাদের জন্য তলব করা হয়। তিনি হাজিরা না দেওয়ায়, সন্ধেয় ফের নোটিস পাঠানো হয়।  লালবাজার সূত্রে জানা যায়, সুখেন্দুশেখর রায় স্নিফার ডগ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে পোস্ট করেছেন, তা অসত্য।  সেই সময় শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে লালবাজারে যাননি সুখেন্দুশেখর। কিছুটা সময় চান। রাতে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'আমি ভয় করব না' গানটি শেয়ার করেন।  


এর পরই সটান কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুখেন্দুশেখর। গ্রেফতারির আশঙ্কা করে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁকে মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। সেখানে পোস্ট তুলে নিলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে না বলে প্রস্তাব দেয় রাজ্য। শেষ পর্যন্ত সেই প্রস্তাবই মেনে নিলেন সুখেন্দুশেখর।


আরও পড়ুন: Supreme Court on RG Kar Case: 'শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বলপ্রয়োগ চলবে না', RG কর কাণ্ডে রাজ্যকে সাবধান করল সুপ্রিম কোর্ট