নয়াদিল্লি: আর জি কর কাণ্ডে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। শহর কলকাতাতেও লাগাতার প্রতিবাদ, মিছিল চলছে। সেই প্রতিবাদ ঠেকাতে গিয়ে কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধছে আন্দোলনকারীদের। সেই নিয়ে এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের উপর জোর-জবরদস্তি চালাতে পারে না রাজ্য সরকার। (Supreme Court on RG Kar Case) বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর, সেই মতোই পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে বলে জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় তোলপাড় পরিস্থিতি। সেই মামলায় স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি চলাকালীন প্রতিবাদ ও মিছিলের প্রসঙ্গ ওঠে। তাতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, "শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের উপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বলপ্রয়োগ করা উচিত নয়। চিকিৎসক হোন বা সুশীল নাগরিক সমাজ, কারও উপর রাষ্ট্র জোর-জবরদস্তি করতে পারে না।" (RG Kar Doctor Death Case)
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, "শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের উপর বলপ্রয়োগ না করে, সংবেদনশীল হয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। এই মুহূর্তে গোটা দেশে আবেগঘন।" আইনজীবী কপিল সিবল এদিন আদালতে জানান, সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়া মারফত প্রচুর ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে। রাজ্য শুধুমাত্র তার বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করছে।
আর জি করের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে মামলা তাদের হাতে উঠেছে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্য়ে সিবিআই-কে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। আর জি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় রাজ্য সরকারকেও রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। আর জি করে ওই রাতে বহিরাগতরা ঢুকে ভাঙচুর চালাল কী করে, সেই নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে।
এদিন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে শুনানি চলছিল। ফেডারেশন অফ অ্যাসোসিয়েশন অফ মেডিক্যাল কনসালট্যান্টস দি ঘল্গো (FAMCI), দিল্লি মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-সহ কিছু সংগঠন এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করে আবেদন জানিয়েছিল। চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও আদালতের হস্তক্ষেপ চায় তারা। সেই মতো এদিন টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে আদালত। টাস্ক ফোর্সের সুপারিশ মতো রাজ্যগুলিকে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।