কলকাতা : SIR-এর বিরুদ্ধে মেগা র‍্যালি তৃণমূল কংগ্রেসের। আগামী মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় এনিয়ে পথে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। রেড রোডে আম্বেডকর মূর্তির পাদদেশ থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত হবে মিছিল। মিছিলে হাঁটবেন মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ, যেদিন বিএলওরা অফিসিয়ালি কাজ শুরু করবেন, সেই দিনটিই বেছে নিয়েছে তৃণমূল। মিছিলে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা শামিল হবেন বলে জানা গেছে। 

Continues below advertisement

এসআইআর নিয়ে ক্রমশ রাজনৈতিক পারদ চড়ছে রাজ্য রাজনীতিতে। শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষই একে অপরকে নিশানা করছে এনিয়ে। এই পরিস্থিতিতে কাল SIR নিয়ে বিভিন্ন স্তরের ১৮ হাজার নেতা ও পদাধিকারীদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সূত্রের খবর, বৈঠকে তিনি বলেন, BLO-দের ছায়াসঙ্গী হিসেবে থাকতে হবে BLA-দের। এক মিনিটের জন্যেও BLO-দের ছাড়বেন না। কোনওরকম অনৈতিক কাজ BLO-রা করলে BLA-দের বাড়তি নজরদারি রাখতে হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের এই বার্তা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

সূত্রের খবর, শুক্রবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, জেলায় জেলায় BLA-1, কে BLA-2 হবেন তা ঠিক করবে। BLA-2, BLO-দের সঙ্গে বাড়ি বাড়ি যাবেন। কারও নাম যেন বাদ না যায়। ১০০% ফর্ম ফিলআপ করে BLO-কে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। BLO-দের এক মিনিটের জন্যও ছাড়বেন না। সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় আরও বলেন, কোনওরকম অনৈতিক কাজ BLO-রা করলে BLA-দের বাড়তি নজরদারি রাখতে হবে। জানতাম, SIR-এর কৌশলটা বিজেপি নেবে। BLO-দের উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে বিজেপিকে সুবিধে করে দেওয়া যায় ও তৃণমূলকে দুর্বল করা যায়। বিজেপির লক্ষ্য অবৈধ ভোটার বাতিল করা নয়, বৈধ ভোটারের নাম বাদ দিয়ে তৃণমূলকে সমস্য়ায় ফেলা। 

Continues below advertisement

বিধায়ক-সাংসদদের উদ্দেশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটিতে একটি করে ওয়াররুম চালু করতে হবে। সেখানে ১৫ জন করে থাকবেন। ১০ জন সরাসরি BLA-2 র সঙ্গে যোগাযোগে থাকবেন। বাকি ৫ জন ডেটা এন্ট্রির কাজ করবেন। একটিও বৈধ ভোটার যাতে বাদ না যায়। BLA 2 যেমন BLO-র ছায়াসঙ্গী হবেন, বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনী সুপারভাইজাররা ERO এবং AERO-র সঙ্গে সম্বন্বয় রেখে চলবেন। সূত্রের খবর, দলীয় নেতাদের অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের আপলোড করা ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় গরমিল পাওয়া গেলে রাজ্যস্তরকে জানাতে হবে। প্রয়োজনে আইনের দারস্থ হতে হবে।