21 July Rally Live Updates : 'যাঁরা নির্বাচিত হয়ে মানুষকে সেবা দেবেন না তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখব না', বার্তা মমতার
Mamata Banerjee To Address Rally: নেতাজি ইনডোর, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, সেন্ট্রাল পার্ক, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, উত্তীর্ণ, বিভিন্ন জায়গায় থাকার ব্য়বস্থা করা হয়েছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের
বিরোধী কম, একুশের সমাবেশ থেকে কর্মীদেরই বেশি বার্তা মমতার। 'বিত্তবান চাই না, বিবেকবান চাই', নেতা-কর্মীদের বার্তা মমতার। 'যত জিতব, তত আমাদের দায়িত্ব বাড়বে, নরম হতে হবে। অন্যায় করবেন না, অন্যায় সহ্যও করবেন না। অন্যায়, দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপোস নয়। অন্যায় করলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরও গ্রেফতার। মা-বোনেদের সম্মান দেবেন, লোভ করবেন না। এখন থেকে কোনও অভিযোগ যেন না আসে। অভিযোগ এলে উপযুক্ত ব্যবস্থা।' জনপ্রতিনিধিদের হুঁশিয়ারি মমতার। 'নির্বাচিত হয়ে মানুষকে সেবা না দিলে কোনও সম্পর্ক থাকবে না।'
পুরসভা, পঞ্চায়েত সদস্য থেকে সাংসদ, বিধায়কদের কড়া বার্তা তৃণমূলনেত্রীর
নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব ভুলে দলের অন্দরে ঐক্য বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন দু'জনই। কিন্তু তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের মধ্যেই সবকিছু ঠিক নেই বলে এবার দাবি করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার ২১ জুলাই সমাবেশের মঞ্চে অভিষেক বক্তৃতা করার সময় উপস্থিত ছিলেন না মমতা। বরং সমাজবাদী পার্টির নেতা, উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে ছিলেন। সেই নিয়েই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন সুকান্ত। (TMC 21 July Rally)
জেলাস্তরে কার্যকারিণী বৈঠক নিয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন সুকান্ত। অভিষেকের ভাষণের সময় মমতা অখিলেশকে স্বাগত জানাচ্ছিলেন বলে জানানো হয় তাঁকে। এতে সুকান্ত বলেন, "এখন পিসি এবং ভাইপোর মধ্যে একটু মন কষাকষি চলছে। আমি শুনতে পাচ্ছি, ভাইপো অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজের ঘনিষ্ট মহলে বলছেন, 'এটা বক্সীর ২১ জুলাই'।"
ওপার বাংলার অসহায়দের জন্য এপারের দরজা খোলা, বার্তা মমতার । 'অশান্ত বাংলাদেশ, কেউ আশ্রয় চাইলে অবশ্যই দেব। প্রয়োজন হলে অবশ্যই বলবেন, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।' অসহায় মানুষের পাশে অবশ্যই থাকব, বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে সংযত থাকার নির্দেশ।
বিত্তবান চাই না, বিবেকবান চাই, নেতা-কর্মীদের বার্তা মমতার। 'যত জিতব, তত আমাদের দায়িত্ব বাড়বে, নরম হতে হবে।' 'অন্যায় করবেন না, অন্যায় সহ্যও করবেন না। অন্যায়, দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপোস নয়। অন্যায় করলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরও গ্রেফতার। মা-বোনেদের সম্মান দেবেন, লোভ করবেন না। এখন থেকে কোনও অভিযোগ যেন না আসে। অভিযোগ এলে উপযুক্ত ব্যবস্থা। জনপ্রতিনিধিদের হুঁশিয়ারি মমতার।
'নির্বাচিত হয়ে মানুষকে সেবা না দিলে কোনও সম্পর্ক থাকবে না। পুরসভা, পঞ্চায়েত সদস্য থেকে সাংসদ, বিধায়কদের কড়া বার্তা তৃণমূলনেত্রীর
'ইডি-সিবিআইয়ের থেকেও বেশি শক্তি মানুষের, ভোটের ফলই তার প্রমাণ। বিজেপির কাছে ইডি-সিবিআই-আয়কর-অর্থবল আছে, তৃণমূলের শক্তি মানুষ। এত চেষ্টা করেও আমাকে বিজেপির কাছে মাথানত করাতে পারেনি, পারবেও না।' কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
'বিজেপির কাছে সিবিআই, ইডি, অর্থ আছে, তৃণমূলের আছে জনগণের শক্তি। ২০১৪ থেকে সিবিআই-ইডিকে ব্যবহার করে তৃণমূলকে ছোট করতে চেয়েছে। কিন্তু বিজেপি নেতার আসলে বাংলাকে ছোট করেছে।' আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
'লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করছি। ২ কোটি ৪০ লক্ষের বেশি মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাচ্ছেন। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করেছি।' জানালেন মমতা।
'আমি চাই বাংলার সঙ্গে গোটা দেশের সম্পর্ক ভাল হোক। অখিলেশের মাধ্যমে যার সূচনা হল। উত্তরপ্রদেশে যে খেলা অখিলেশ দেখিয়েছেন, তাতে বিজেপির ইস্তফা দেওয়া উচিত ছিল। দিল্লিতে ভয় দেখিয়ে যে সরকার তৈরি হয়েছে, তার আয়ু বেশিদিন নেই।' বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
'আমার কাছে ১০ লক্ষ চাকরি তৈরি আছে। বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস আদালতে গিয়ে চাকরি আটকে দিচ্ছে। কারও চাকরি যাবে না, আমরা সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করছি। এজেন্সি দিয়ে তৃণমূলকে কিছু করা যাবে না।' বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
'এত এজেন্সির ভয় দেখানো সত্ত্বেও লোকসভা, বিধানসভা ভোটে জিতেছি। নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্ব সত্ত্বেও আমরা জিতেছি। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপির সঙ্গে লড়াই করে আমরা জিতেছি। যত জিতব, তত আমাদের নম্র হতে হবে।' মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
'যত জিতব তত আমাদের নম্র হতে হবে। বিজেপি কোনও দিন মানুষের জন্য কিছু করেনি। দিল্লি সরকারের আয়ু আর বেশি দিন নেই।' বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
'দিদির কাছে এমন কর্মী আছেন, যাঁরা প্রাণ দিতেও প্রস্তুত। এমন সমর্থক থাকা যে কোনও দলের কাছেই ভাগ্যের ব্যাপার। কারণ যে কোনও রাজনৈতিক দলের ভিত্তি কর্মীরাই। দিদি যখন পায়ে প্লাস্টার নিয়েও প্রচার করছিলেন, তখনই বলেছিলাম দিদি একাই লড়ে জিতবেন। খুব কম নেতা আছেন, যাঁরা নিজের জীবন বাজি রেখে লড়াই করেন।' ২১-এর মঞ্চে মন্তব্য অখিলেশ যাদব।
'
'যাঁরা বলেছিল, তৃণমূলকে সাফ করবে, তাঁরাই সাফ হয়ে গেছে। এত চেষ্টা করেও আমাকে বিজেপির কাছে মাথানত করাতে পারেনি। পরিবারের কাউকে হেনস্থা করতে ছাড়েনি বিজেপি।' বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
'এখন থেকে ২০২৬-এর লড়াই এখন থেকে শুরু করতে হবে। পুরসভা, পঞ্চায়েত ভোটে দল এবার কাজ দেখে টিকিট দেবে। বিধানসভা, লোকসভা ভোটে লড়াই দেখে এবার টিকিট দেওয়া হবে।' মন্তব্য অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের।
'২০১৫-য় ধর্মতলায় মিটিং করে বলেছিল, ভাগ মমতা ভাগ। আজ বাংলার মানুষ নরেন্দ্র মোদিকে হারিয়ে উচিত শিক্ষা দিয়েছে।' মন্তব্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
'
'জুনের ৪ তারিখের ভারতের মানুষকে জনগর্জন দেখিয়েছেন বাংলার মানুষ।' মন্তব্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে থেকে দেখার জন্য গতকাল রাত থেকে দুই বৃদ্ধা অপেক্ষা করছেন ধর্মতলার মূলমঞ্চের সামনে।
ধর্মতলার সমাবেশে যাওয়ার আগে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে ভুরিভোজের আয়োজন।
ধর্মতলায় তৃণমূলের মেগা সমাবেশ। যোগ দিতে লখনউ থেকে এলেন অখিলেশ যাদব।
২১ জুলাই উপলক্ষে ইতিমধ্য়েই বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন জেলা থেকে বাসে-ট্রেনে করে আরও কর্মী-সমর্থকরা আসছেন শহরে। নেতাজি ইনডোর, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, সেন্ট্রাল পার্ক, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, উত্তীর্ণ, বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের থাকার ব্য়বস্থা করা হয়েছে। সমাবেশের মূল মিছিলগুলির পথও সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, হাওড়া স্টেশন থেকে যে মিছিল আসবে, তা হাওড়া ব্রিজ --- ব্রেবোর্ন রোড --- নিউ CIT রোড --- সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ --- চাঁদনি চক ---- এসএন ব্য়ানার্জি রোড হয়ে পৌঁছবে সভাস্থলে। শ্য়ামবাজার থেকে আসা মিছিল সেন্ট্রাল অ্য়াভিনিউ, চাঁদনি চক, এসএন ব্য়ানার্জি রোড হয়ে যাবে ধর্মতলায়। দক্ষিণ কলকাতার মিছিল আশুতোষ মুখার্জি রোড, জওহরলাল নেহরু রোড হয়ে ধর্মতলার সভাস্থলে পৌঁছবে। শিয়ালদা থেকে আসা মিছিল এপিসি রোড, মৌলালি, এসএন ব্য়ানার্জি রোড হয়ে যাবে ধর্মতলায়। এই মিছিলগুলির জন্য আমহার্স্ট্র স্ট্রিট, বিধান সরণী, কলেজ স্ট্রিট, ব্রেবোর্ন রোড, স্ট্র্য়ান্ড রোড সহ বেশ কিছু রাস্তায় যান চলাচল একমুখী করে দেওয়া হবে।
ধর্মতলায় তৃণমূলের মেগা সমাবেশ। যোগ দিতে লখনউ থেকে আসছেন অখিলেশ। জেলা থেকে কলকাতায় দলে দলে নেতা-কর্মীরা। শিয়ালদা, হাওড়ায় বিশেষ ক্যাম্প।
২১ জুলাইয়ের সভা শুরুর আগেই ধর্মতলায় জনজোয়ার। লোকসভা ভোট, উপনির্বাচনে সবুজ ঝড়ের পর কী বার্তা মমতার?
প্রেক্ষাপট
কলকাতা : আজ তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ। লোকসভা ভোট ও বিধানসভা উপনির্বাচনে ব্য়াপক সাফল্য়ের পর, প্রথম সমাবেশ, উদ্দীপনায় ভাসছে তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূলের এই মেগা সমাবেশের মঞ্চটি তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মূল মঞ্চটি দৈর্ঘ্য়ে ৫২ ফুট এবং প্রস্থে ২৪ ফুট। যেখানে বসবেন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। থাকবেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, সাংসদ-মন্ত্রী ও অতিথিরা। মঞ্চের দ্বিতীয় ভাগ দৈর্ঘ্য়ে ৪৮ ফুট ও প্রস্থে ২৪ ফুট। যেখানে থাকবেন শহিদ পরিবারের সদস্য়রা। তৃতীয় স্তরের দৈর্ঘ্য় ৪০ ফুট ও প্রস্থ ২৪ ফুট। যেখানে থাকবেন বিধায়ক, কাউন্সিলর ও দলীয় নেতারা। মঞ্চে ওঠার জন্য় এবার তৈরি করা হয়েছে একটি ব়্যাম্প।
২১ জুলাই উপলক্ষে ইতিমধ্য়েই বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন জেলা থেকে বাসে-ট্রেনে করে আরও কর্মী-সমর্থকরা আসছেন শহরে। নেতাজি ইনডোর, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, সেন্ট্রাল পার্ক, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, উত্তীর্ণ, বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের থাকার ব্য়বস্থা করা হয়েছে। সমাবেশের মূল মিছিলগুলির পথও সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, হাওড়া স্টেশন থেকে যে মিছিল আসবে, তা হাওড়া ব্রিজ --- ব্রেবোর্ন রোড --- নিউ CIT রোড --- সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ --- চাঁদনি চক ---- এসএন ব্য়ানার্জি রোড হয়ে পৌঁছবে সভাস্থলে। শ্য়ামবাজার থেকে আসা মিছিল সেন্ট্রাল অ্য়াভিনিউ, চাঁদনি চক, এসএন ব্য়ানার্জি রোড হয়ে যাবে ধর্মতলায়। দক্ষিণ কলকাতার মিছিল আশুতোষ মুখার্জি রোড, জওহরলাল নেহরু রোড হয়ে ধর্মতলার সভাস্থলে পৌঁছবে। শিয়ালদা থেকে আসা মিছিল এপিসি রোড, মৌলালি, এসএন ব্য়ানার্জি রোড হয়ে যাবে ধর্মতলায়। এই মিছিলগুলির জন্য আমহার্স্ট্র স্ট্রিট, বিধান সরণী, কলেজ স্ট্রিট, ব্রেবোর্ন রোড, স্ট্র্য়ান্ড রোড সহ বেশ কিছু রাস্তায় যান চলাচল একমুখী করে দেওয়া হবে।
বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ধর্মতলার পথে তৃণমূলের একাধিক মিছিল। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে সেই ছবি তুলে ধরলেন আমাদের প্রতিনিধি অরিত্রিক ভট্টাচার্য।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -