কলকাতা: ২১ জুলাই সভা শুরুর আগে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় অস্ত্র-সহ সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে। পুলিশের কাছে মিথ্যে পরিচয় দেওয়ারও চেষ্টা করছিলেন ওই ব্যক্তি। ওই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে। নুর আমিন নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যদিও স্বামীর কাছে অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার ঘটনা কার্যত মানতে চাননি তাঁর স্ত্রী পুনম বিবি। তিনি বলেন, 'অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। লাইটার উদ্ধার হয়েছে। আপনারা কী দেখেছেন অস্ত্র?' তিনি বলেছেন, 'কী হয়েছে না হয়েছে, ফোন ধরছেন না।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে যাবেন বলে কথা হয়েছিল, দাবি ধৃতের স্ত্রীর। তিনি আরও বলেন, 'সকালে কথা হয়েছে। উনি হিউম্যান রাইটস প্রোটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের স্টেট মেম্বার আছেন। ওইখান থেকে ইনভাইট ছিল যাওয়ার জন্য।'
মেদিনীপুর শহরের অলিগঞ্জের কসাইপাড়ায় নুর আমিনের শ্বশুরবাড়ি। এখানেই দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন নুরের স্ত্রী। নুর আমিনের শাশুড়ির দাাবি তাঁর জামাইকে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর শাশুড়ি সুলতানা পারভিন বলেন, 'সপ্তাহে একদিন করে আসে। তারপর সোমবার চলে যায়। কলকাতাতে ইন্টিরিয়রের কাজ করে। আমার জামাই খুব ভাল। পাড়ার সবাইকে জেনে নাও। এরকম করতেই পারে না। কেউ ফাঁসিয়েছে।'
১৪১ বি মার্টিন পাড়া, যে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেটি রেজিস্ট্রেশন ছিল ওই ঠিকানায়। ২১ এ মার্টিন পাড়ায় তাঁর একটা দোকান রয়েছে। তার সামনেই থাকত গাড়িটি। পাশেই রয়েছে একটি বাইক, সেটিও নুর আমিনের বলেই দাবি বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, 'এখানে অনেকদিন ধরে থাকে। কারও সঙ্গে মেলামেশা করে না। আমরা বিশেষ কিছু জানি না। একটা গাড়ি ছিল ওঁর।''
২১ জুলাইয়ের মতো তৃণমূলের মহাসমাবেশের দিনে,মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে কী করতে গিয়েছিলেন নুর আমিন? কেন তাঁর গাড়িতে পুলিশ লেখা বোর্ড লাগানো ছিল? কালীঘাট থানায় নুরকে জেরা করে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর বের করার চেষ্টা শুরু করেন অফিসারেরা। পুলিশ সূত্রের খবর, নুর আমিনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অস্ত্র আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, 'কেন দেখা করতে চাইছিল, সিকিওরটি জেড প্লাস ক্যাটিগরি প্রোটেক্টি, এসটিএফ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ এক্সামিন করছে। আমরা দেখছি, ওর উদ্দেশ্যটা কী।'
আরও পড়ুন: ২১ জুলাই মিছিলে চন্দ্রযান ৩! লঞ্চ ভেহিকল মডেলে দিল্লির স্বপ্ন?