কলকাতা: ময়নার পর নন্দীগ্রাম! ভোট না দিলে সরকারি প্রকল্পে কাটছাঁটের হুঁশিয়ারি? 'বিজেপিকে ভোট দিলে বন্ধ করা হবে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'। পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের সোশাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে বিতর্ক। বিতর্কে জড়ালেন নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বয়াল ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য অষ্টমী গিরি। তিনিই আবার নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদেও রয়েছেন। যদিও, প্রশ্নের উত্তরেও অনড় সেই তৃণমূল নেত্রী। তাঁর দাবি, নন্দীগ্রামের বিধায়ক হয়েও, প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। 

Continues below advertisement

তবুও, মানুষকে অভাব বুঝতে দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। নন্দীগ্রামের মানুষকে প্রকল্পের অভাব বোঝাতেই এই সোশাল মিডিয়া পোস্ট করেছেন তিনি। এ নিয়ে বিজেপির কটাক্ষ, তৃণমূল পক্ষপাতিত্ব করে দেউলিয়াপনা রাজনীতি করছে। কোন পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা উনি বলেছেন, সেটা বোঝা দরকার, অস্বস্তি এড়াতে সাফাই তৃণমূল জেলা নেতৃত্বর। 

 প্রসঙ্গে পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'এসব নিয়ে আমি ভাবি না। ওরা আমাকে জানে। আমাকে অবিভাবকের মতো দেখে। এসব করে কিছু করতে পারবে না।'

Continues below advertisement

নন্দীগ্রাম এক বাসিন্দার অবশ্য মন্তব্য, 'আমাদের ট্যাক্সের পয়সায় আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছি। এটা কোনও সরকারের ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে দিচ্ছেন না বা ওঁর কোনও পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে দিচ্ছেন না আর আগামীদিনে আমরা নন্দীগ্রামের মহিলারা যথেষ্ট সচেতন।'  

যদিও প্রশ্নের মুখে পড়েও নিজের মন্তব্যেই অনড় থাকেন ওই তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারী যদি প্রকৃত বাংলার মাটিতে জন্মাত, শুভেন্দু অধিকারী কি কেন্দ্রকে নির্দেশটা দিতে পারত, বাংলারকে পেটের ভাতে মারার জন্য। আমাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমাদের কেন্দ্র যে  বকেয়া টাকা দেয়নি। না দেওয়া সত্ত্বেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের অভাব অনটন পূরণ করে তিনি রেখেছেন। আমি এই পরিপ্রেক্ষিতে, যে নন্দীগ্রামের মানুষ অভাবটা বুঝতে পারুক।' 

তবে এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগে, পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায়, বিজেপি পরিচালিত দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে রাজনৈতিক কারণে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের' টাকা থেকে বঞ্চনার অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার সরাসরি শাসক নেত্রীর মুখেই সরকারি প্রকল্প বন্ধ করার হুঁশিয়ারি ঘিরে রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে।