বীরভূম: অনুব্রতর জেলায় আজ অমিত শা-র পাল্টা সভা করেন ফিরহাদ হাকিম। প্রচণ্ড গরমের কথা মাথায় রেখে, সকাল সকাল সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এদিন তৃণমূলের সভায় প্রধান বক্তা ছিল ২ জন, ফিরহাদ হাকিম ও পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। সেই মতো বক্তব্য পেশের সময় সোহম জানান তিনি বীরভূমের মাটিতে এসে 'মিস করছেন' অনুব্রত মণ্ডলকে। 


ঠিক কী জানিয়েছেন সোহম? 


'তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীসভা ডাকলে তা জনসভা হয়ে যায়। আর জনসভা ডাকলে তা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। কিন্তু আজ মনটা একটু খারাপ। বীরভূমের মাটিতে পা রাখব আর কেষ্টদাকে দেখব না এটা অনেকটা সুন্দরবনে গিয়ে রয়্যাল বেঙ্গল না দেখার মতো। মনটা খারাপ, কেষ্টদাকে মিস করছি। যদিও আমরা জানি, উনি রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়েছেন। আপনাদের সকলের ভালবাসায়, দোয়া, আশীর্বাদে কেষ্টদা আবার আমাদের মধ্যে ফিরে আসবেন। বীরভূমের অভিভাবক হয়ে এই জেলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন'। 



অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে শুক্রবারই সভা করে গেছেন অমিত শাহ। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত এখন তিহাড়ে। সেই অনুব্রতই কেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি, তা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি অমিত শাহ। 
এসবের জবাব দিতেই রবিবার বীরভূমে পাল্টা সভার ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক অমিত শাহকে উদ্দেশ করে পাল্টা খোঁচা দেন।


সভায় সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি, গরু পাচার হয় উত্তরপ্রদেশ থেকে, তারপর সেটা সীমান্ত পার হয়ে চলে যায় বাইরে। এর মধ্যে তৃণমূল নেতাদের ভূমিকা কোথায়, তানিয়ে প্রশ্ন তোলেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, 'গরু আসে ইউপি থেকে, টাকা তোলে বিএসএফ ও ইউপি সরকার, আমাদের নেতাকে জেলে ভরে রেখেছে গরু পাচার মামলায়'।                                                   


এদিন ব্যাঙ্ক জালিয়াতিকাণ্ডে পলাতক ব্যবসায়ীদের নাম তুলে বিজেপিকে নিশানা করেন তৃণমূল নেতারা। তোলা হয় আদানি প্রসঙ্গ। তৃণমূল নেতাদের আশঙ্কা, আদানিও একদিন দেশ ছেড়ে পালাতে পারে, আর সেটা হলে অর্থনীতির ওপর ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে।


আরও পড়ুন, তীব্র গরম! আগামী সপ্তাহে রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি: মুখ্যমন্ত্রী