মুন্না আগরওয়াল,বালুরঘাট: অতিমারীর দাপটে পর পর ডিজিটাল মাধ্যমে একুশে জুলাই (shahid dibas)পালন করেছে তৃণমূল (tmc)। তবে এবার সার্বিক পরিস্থিতি গত দু'বছরের নিরিখে কিছুটা ভালো। তাই আগের মতোই একুশে জুলাই পালনের তোড়জোড় করছে জোড়াফুল শিবির। এখনও হাতে মাসখানেক সময়। তবে তার আগেই রাজ্যের নানা প্রান্তে একুশে জুলাইয়ের প্রচার (campaign) শুরু করেছে তারা। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (balurghat) শহরে তারই ছবি ধরা পড়ল আজ।


অন্য মেজাজে প্রচার


একুশে জুলাই উপলক্ষে এদিন কিছুটা অন্য মেজাজের প্রচারের ব্যবস্থা করেছিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর বুকে চেপে প্রচার চালান সদস্যরা যার পুরোভাগে ছিলেন জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। নদীপাড়ে থাকা জনসাধারণের উদ্দেশে প্রচারের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়াই মূল লক্ষ্য। একেবারে চেনা-পরিচিত উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়েই প্রচারের কাজে নেমেছিলেন জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সদস্যরা। 


কেন গুরুত্বপূর্ণ ২১ জুলাই?



সাধারণত প্রতি বছরই কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ করে থাকে তৃণমূল। কিন্তু করোনার দাপটে পর পর দুবার এই সমাবেশ ভার্চুয়াল মাধ্যমেই সারতে হয়েছিল শাসকদলকে। উদযাপনের নেপথ্যে ১৯৯৩-র একটি ঘটনা। ওই বছরের ২১ জুলাই পুলিশের গুলিতে ১৩ জন কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন রাজ্য যুব কংগ্রেস নেত্রী। যুব কংগ্রেসের ডাকে এক প্রতিবাদ অভিযানে পুলিশের গুলিতে ওই ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট বলেই মনে করা হয়ে থাকে। জনমানসে রক্তপাতের ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এর পর থেকেই বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রধান মুখ হয়ে ওঠেন মমতা। চার বছর পর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেন। তার পর অবশ্য অনেক কিছুরই সাক্ষী থেকেছে এ রাজ্য। ২০১১ সালে রাজ্যে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। এর পরই ওই ঘটনার তদন্তে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল তৃণমূল সরকার। একই সঙ্গে প্রতি বছরই ২১ জুলাই শহিদ দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে তৃণমূল। ওই দিনটিতেই দলীয় কর্মীদের জন্য আগামী রাজনৈতিক রূপরেখাও স্থির করে দেন তৃণমূলনেত্রী। 
সেই সমাবেশই পর পর দুবছর ভার্চুয়াল মাধ্যমে হয়েছে। তবে এ বছরের তোড়জোড় দেখে স্পষ্ট, পুরনো মেজাজেই সবটা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে শাসকদল।


আরও পড়ুন:৩৩ বছর পর বামেদের হাতছাড়া শিলিগুড়ি মহকুমা, শূন্য বিরোধীরা, তৃণমূলেরই জয়জয়কার