কলকাতা : 'পায়ের তলার জমি সরে গিয়েছে, তাই এমন সব হাস্যকর দাবি করছেন। মানুষের আশীর্বাদে ১০৮ পুরসভার মধ্যে ১০২টিতে তৃণমূল জিতেছে। সিপিএম একটি পুরসভাতে জিতলেও বিজেপি শূন্য ঝুলি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলেই এই গাত্রদাহ।' ঠিক এই ভাষাতেই বিজেপি ও গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) নিশানা করলেন সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy,)। তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ বিজেপি রাজ্য সভাপতির‘তৃণমূলের নতুন ডাক, কাস্তে হাতুড়ি বেঁচে থাক’, 'ফিস ফ্রাই' জোট মন্তব্য প্রসঙ্গে এমনটা বলেছেন।
পুরভোটে (Municipal Election 2022) বিপর্যয়ের কারণ নিয়ে পর্যালোচনার জন্য শনিবার চিন্তন বৈঠক আয়োজিত করেছিল গেরুয়া শিবির। বৈঠকে বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, 'আমাদের বিরোধীরা একসময় বলতেন আমাদের সঙ্গে নাকি তৃণমূলের গট-আপ আছে। সিপিএমের বন্ধুরা বলতেন তৃণমূলের সঙ্গে আমরা নাকি সমঝোতা করেছি। আর আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি ছাপ্পা ভোট মারতে গেলে আটটা তৃণমূলকে দিলে দুটো সিপিএমকে ছাপ্পা দেওয়া হচ্ছে। এখন ফিস-ফ্রাই জোট তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের অন্দরে এখন নতুন স্লোগান তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের নতুন ডাক, কাস্তে-হাতুড়ি বেঁচে থাক।' সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) যে প্রসঙ্গে বলেছেন, 'হাস্যকর দাবি। তৃণমূলের প্রশ্রয়েই তো রাজ্যে উত্থান হয়েছিল বিজেপির। এখন সেই জায়গাটা ধরে রাখতে না পেরেই এসব বলছেন।'
বিজেপি রাজ্য সভাপতির মন্তব্য নিয়ে তাঁর দিকে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও (Kunal Ghosh)। তিনি বলেছেন, 'সবে তো মার্চ মাস পড়ল, ঠিকমতো গরমই পড়েনি, তার আগেই সুকান্ত মজুমদারের মাথার গন্ডগোল শুরু হল। ওঁর সাবধানতা নেওয়া প্রয়োজন। একেবারে অরাজনৈতিক কথাবার্তা, বাংলার রাজনীতিতে বিজেপি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে, আর অন্ধু তৃণমূল বিরোধীতা করতে গিয়ে বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম বিভিন্ন জায়গায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমঝোতা রেখে চলছে।'