কোচবিহার : কোচবিহারের সভা থেকে ফের বিএসএফ ও এজেন্সিকে একযোগে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। "গ্রামে-গঞ্জে ঢুকে অত্যাচার করলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় এফআইআর করবেন", আজ এই ভাষাতেই সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে একহাত নেন তিনি।
মমতা বলেন, "মনে আছে শীতলকুচির ঘটনা ? ভুলে যাননি তো ? ৪টে ছেলেকে বিএসএফ গুলি করে মেরে দিয়েছিল। যখন তখন যাকে তাকে গুলি করে মেরে দেয়। যেন জমিদারি পেয়ে গেছে ! গ্রামে-গঞ্জে ঢুকে অত্যাচার করলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় এফআইআর করবেন। এটা মাথায় রাখবেন। ওরা ভয় দেখিয়ে ভোট করতে চায়। বলবেন, ভয় দেখাবে না। বিএসএফ-এর অত্যাচারে মানুষ অত্যাচারিত। মনে রাখবেন, বিএসএফ বর্ডার এরিয়ার মধ্যে ঢুকে আলাদা করে আই কার্ড দিতে চাইছে। নেবেন না। বলবেন, আমার আধার কার্ড, রেশন কার্ড আছে। আমি তোমার ২ নম্বরি কার্ড নেব না। এই কার্ড যদি নেন এনআরসিতে পড়ে যাবেন। সব বাদ দিয়ে দেবে।"
এর পাশাপাশি সরব হন এজেন্সির ভূমিকা নিয়েও। বিজেপির নাম না করে মমতার বক্তব্য, "এজেন্সি দিয়ে ভোট করতে চায়। ফোন করে বলে, তুই যদি আমাদের সঙ্গে না আসিস তোর বাড়িতে ইডি পাঠিয়ে দেব। ইডি কী করবে ? সিবিআই কী করবে ? আজ আছে কাল নেই।"
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিন ১০ এপ্রিল বিধানসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের দিন শীতলকুচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল পাঁচজনের। প্রথমবার ভোট দিতে গিয়েই প্রাণ গিয়েছিল সেবার পাঠানটুলির বাসিন্দা আনন্দ বর্মনের। শুধু আনন্দ বর্মনই নন, জোড়পাটকি গ্রামে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু হয়েছিল মণিরুজ্জামান মিঞা, হামিউল হক, হামিদুল মিঞা ও নুর আলম মিঞাদের। এই ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি।
পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও ভোটের ক্ষেত্রেই নিরাপত্তায় কে থাকবে এ এক বরাবরের বড় প্রশ্ন। কেন্দ্রীয় বাহিনী না রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলে প্রতিবারই। কলকাতা পুরভোটের ক্ষেত্রেও সেই একই দৃশ্য উঠে এসেছিল। সেবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার পক্ষে ছিল গেরুয়া শিবির। আদালতের দ্বারস্থ হলেও শেষ অবধি রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে