কলকাতা: নানা ইস্যুতেই রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। রাজ্যপালে জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে সংসদেও সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এরইমধ্যে তৃণমূল জানাল রাজ্য বিধানসভার আসন্ন বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা হবে। তৃণমূলের মহাসচিব তথা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন,  রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের  বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব আনা হবে।


গতকাল প্রশাসনিক সভায় পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের ঘটনা নিয়ে এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। আইএএস ও আইপিএসদের সংগঠনকে ট্যাগ করে ট্যুইটে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন রাজ্যপাল। তিনি লিখেছেন, কী উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ্যমন্ত্রী পূর্ব মেদিনীপুরের এসপিকে জিজ্ঞেস করছেন, রাজ্যপাল আপনাকে ফোন করেন? এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশের মেরুদণ্ডে আঘাত মুখ্যমন্ত্রীর।


এর প্রতিক্রিয়ায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘কার মেরুদণ্ড সোজা সেটা তো মানুষ দেখছেন। নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে পুলিশকে উস্কানি দিচ্ছেন রাজ্যপাল। এভাবে  সংবিধান বিরোধিতার কাজ রাজ্যপাল  করে যাচ্ছেন। নির্বাচিত সরকারের বিরোধিতায় পুলিশ-প্রশাসনকে রাজ্যপাল উস্কানি দিচ্ছেন। এর প্রতিবাদে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে  বিধানসভায় প্রস্তাব আনছে তৃণমূল’। 


এদিকে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত নিয়ে  প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সিপিএম। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তৃণমূল বা বিজেপি বিপদে পড়লেই মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালের সংঘাত সামনে আসে।


বাংলায় যখন রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকার এবং তৃণমূলের বাগ্‍যুদ্ধ বেনজির জায়গায় পৌঁছেছে, তখন ফের একবার রাজ্যপাল-ইস্যুকে দিল্লির দরবারে নিয়ে গেল তৃণমূল।রাজ্যপাল-প্রসঙ্গে শুক্রবার, সংসদের বাজেট অধিবেশনে রাজ্যসভায় সরব হন DMK’র সাংসদরা। DMK’র অভিযোগ, বিধানসভায় পাস হওয়া বিলকে অনুমোদন দিচ্ছেন না তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল।এ’নিয়ে আলোচনার দাবি করেন তাঁরা। যদিও, তার অনুমতি দেননি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। এরপরই, রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান DMK’র সাংসদরা।


রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউটও করেন। DMK’কে সমর্থন জানিয়ে, রাজ্যসভা থেকে ওয়াকওউট করেন কংগ্রেস, তৃণমূল ও সিপিএমের সাংসদরাও।


রাজ্যপালকে খোঁচা দিয়ে, বিজেপির সাময়িক বরখাস্ত নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের ট্যুইট,   ‘রাজ্যের সঙ্গে দ্বন্দ্বে আমাদের প্রিয় পশ্চিমবঙ্গ কি উপকৃত হচ্ছে? সংবাদমাধ্যম ও ট্যুইটই কি সব কিছু সমাধান করবে? আপনার অবস্থান কি শাসক দলকেই সহানুভূতি জোগাচ্ছে না?মানুষ আপনার থেকে প্রকৃত রাষ্ট্রনেতার মতো আচরণ প্রত্যাশা করে।’