কলকাতা : দিল্লির পর এবার কলকাতা। কয়লা পাচার মামলায় আজ কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে। আগেও কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিল তৃণমূল। আবারও অভিষেকের তলবের পর ট্যুইটে কড়া সমালোচনা করল তৃণমূল। ট্যুইটে দলের তরফে লেখা হয়েছে, 


‘কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি বিজেপির হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে, এটা লজ্জার। যখনই বিজেপি শঙ্কিত হয়ে পড়ে, এই তোতাপাখিদের ছেড়ে দেয়। যারা মেরুদণ্ড বিক্রি করেনি, তাঁদের নিশানা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মোদি বলতেন, কেন্দ্রীয় সংস্থার রাজনীতিকরণ নিন্দনীয়। প্রধানমন্ত্রী মোদি বিরোধীদের দমনে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার করেন। প্রধানমন্ত্রী, বিভাজনকারী শক্তিকে আমরা অতীতেও হারিয়েছি। বিজেপির পুতুল দিয়ে ভয় দেখানোর ছক কাজ করবে না। লড়াই জারি থাকছে’





BJP র জবাব
তৃণমূলের এই ট্যুইটের পর রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যখনই তদন্ত গতি প্রাপ্ত হয়েছে, তখনF রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তকমা দেওয়া হয়েছে। আবার তদন্তের গতি কমলেই বাম-কংগ্রেস দিদি-মোদি আঁতাঁতের অভিযোগ তুলেছে। আমরা এই নিয়ে ক্লান্ত। বিজেপির সঙ্গে এই তদন্তের কোনও সম্পর্ক নেই। যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দোষ হন, তাহলে তিনিও ভবিষ্যতে ক্লিনচিট পাবেন। ' 


'কিছু একটা ঘটতে পারে'
সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ফের নোটিস পাঠাতে পারে। আর মঙ্গলবার জানা যায় কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। শুক্রবার তাঁকে CGO কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছে। সোমবার, TMCP’র প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা মঞ্চ থেকে, দলনেত্রীর মতো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন ফের কিছু একটা ঘটতে পারে।




গতবছরের ৬ সেপ্টেম্বর এবং এবছরের ২১ মার্চ। দু’বারই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দিল্লিতে, ইডি’র সদর দফতরে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি থেকে কলকাতায় এলেন ইডির ৫ আধিকারিক।