সঞ্চয়ন মিত্র, সৌভিক মজুমদার ও আশাবুল হোসেন, কলকাতা : রবীন্দ্র জয়ন্তী  (Rabindra Jayanti ) পালনে তৎপরতা দেখা গেল তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবিরেই। আলাদা আলাদা কর্মসূচির পাশাপাশি, জোড়াসাঁকোয় গিয়ে শ্রদ্ধা জানান ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিজেপির উদ্যোগকে কটাক্ষ করেছেন ফিরহাদ হাকিম। পাল্টা, কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। 
দু’জনের একে অপরের প্রতি ছিল গভীর শ্রদ্ধা । আবার ইস্যুভিত্তিক মতবিরোধও ছিল। বিহারের ভূমিকম্পের পর গাঁধীজির মন্তব্য রবীন্দ্রনাথ নস্যাৎ করেছিলেন। আর তাঁর সেই তীব্র প্রতিবাদপত্রটি গাঁধীজি স্বয়ং প্রকাশ করেছিলেন তাঁর সম্পাদিত হরিজন পত্রিকায়। নিজের বক্তব্যে অনড় থেকেই। 
অর্থাৎ বিরোধিতা কিবা মতপার্থক্য থাকলেও, আলাপ-আলোচনা-মেলামেশায় আলোচনায় বিশ্বাসী ছিল দু’জনেই! কিন্তু, এখনকার রাজনীতিবিদরা কি তাতে আদৌ বিশ্বাসী? নইলে সবেতেই কেন রাজনৈতিক তরজা? তৃণমূল সরকারের তরফে যখন রবীন্দ্র সদন সংলগ্ন ক্যাথিড্রাল রোডে ‘কবি প্রণামে’র আয়োজন করা হল। তখন মুরলীধর সেন রোডে বিজেপির রাজ্য পার্টি অফিসে পালিত হল রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী!



আরও পড়ুন : 
বাড়ির সামনে বোমাবাজি, কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন অর্জুন


এদিন, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতেও যায় তৃণমূল-বিজেপি দু’দলই! সকাল ন’টায়, ঠাকুরবাড়িতে যান ফিরহাদ হাকিম! ফিরহাদ হাকিম যখন উপাচার্যের ঘরে কথা বলছেন, তখন ঠাকুরবাড়িতে আসেন দিলীপ ঘোষ! কিন্তু, রবীন্দ্র-জয়ন্তীকেও বাদ গেল না খোঁচা-পাল্টা-খোঁচা! 
তৃণমূল বিধায়ক ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, সবাই আসুক, প্রণাম জানাক। আমাদের সংস্কৃতি বিশ্বাস করুক। হিন্দিকে সারা ভারতবর্ষের না বলে যদি নিজেদের ভুল শোধরায়, তাহলে ভগবান ওদের ক্ষমা করুক। ওরা কী করেছিল, ওরা নিজেরাই জানে না। 
পাল্টা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, যাঁরা চোখ বন্ধ করে রাখে, তাঁরা যখন চোখ খোলে ভাবে তখনই সকাল। রবীন্দ্রনাথ সবার হৃদয়ে আছে। আমরা আগেও করেছি, আগে ভাল করে জানুন।


এদিন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে এসে শ্রদ্ধা জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও!