রাজা চট্টোপাধ্যায়,জলপাইগুড়ি: মন্ত্রিসভার বৈঠকে 'ধুপগুড়ি মহকুমা' পাস হতেই উৎসবের মেজাজ ধুপগুড়িতে। কথা দিয়ে কথা রাখল তৃণমূল। গতকাল ধূপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সংক্রান্ত প্রস্তাবটি পাস হয়েছে।


ধুপগুড়ি উপ নির্বাচনের প্রচারে এসে, গত ২ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়িতে প্রচারের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছিলেন, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ধূপগুড়িতে মহকুমা হিসেবে তৈরি করা হবে। ভোটারদের কথা দিয়ে নিজের আশ্বাস বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। সরাসরি এর প্রভাব পড়ে ভোটবাক্সে। বিজেপি-র থেকে ধূপগুড়ি ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। দলের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় জয়ী হন সেখানে। 


অভিষেকের প্রতিশ্রুতি নিয়ে যদিও কম কাটাছেঁড়া হয়নি সেই সময়। দলের সাংসদ হয়ে অভিষেক প্রতিশ্রুতি দেওয়ার, কে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। এমনকি অভিষেক নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগও জমা পড়ে। তবে সমালোচনার ধার ধারেনি তৃণমূল। শেষ মেশ অভিষেকের সিদ্ধান্তেই সিলমোহল দিল মমতার সরকার। 


সেই খুশিতে আজ ধুপগুড়ি শহরে তৃণমূল নেতৃত্ব কর্মীরা উৎসবে মেতে উঠলেন। ঢাক বাজিয়ে নাচ, পথ চলতি মানুষকে  লাড্ডু , গোলাপ ফুল বিলি করলেন তাঁরা। পাশাপাশি ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চের দাবি তারাই প্রথম এই মহাকুমার দাবি তোলেন এবং গত দশ বছর থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল যার ফলেই আজ ধুপগুড়ি মহকুমাতে পরিণত হয়েছে। তবে এখনই তারা কোনও সেলিব্রেশন করবেন না যতদিন না নোটিফিকেশনের কাগজ হাতে পাচ্ছেন।


সাধারণ মানুষের দাবি শুধু মহকুমা ঘোষণা করলেই হবে না পরিকাঠামো ঠিকঠাক তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি ধুপগুড়ি স্বাস্থ্যপরিসেবাও উন্নত করতে হবে।কারণ বর্তমানে অল্প কিছু হলেই  পেশেন্টকে রেফার করা হয় জলপাইগুড়ি, নেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মী নেই চিকিৎসক। যার কারণে সঠিক পরিষেবা পান না ধুপগুড়ি এবং বানারহাট ব্লকের মানুষ। এই হাসপাতালের উপরে নির্ভরশীল ২৭ টি চা বাগান,আটটি বনবস্তি,১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং একটি পুরসভার মানুষ। 


আরও পড়ুন, 'কলকাতা-সহ রাজ্যের সকল সিভিক ভলেন্টিয়ারের পুজোর বোনাস এক..', ট্যুইট মুখ্যমন্ত্রীর


উল্লেখ্য , গতকাল তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে অভিষেকের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ হতে চলেছে বলে জানান দেওয়া হয়। লেখা হয়, 'কথা দিয়ে কথা রাখার নামই তৃণমূল। উপনির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তার বাস্তবায়ন করলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধূপগুড়িকে মহকুমা করার প্রস্তাব পাস হল। এই সিদ্ধান্তে ধূপগুড়ি শহর এবং ধূপগুড়ি গ্রামীণ এবং বানারহাটের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কথা দিয়ে কথা রাখাই উচিত'।