কলকাতা: একদিনের মধ্যে টালিগঞ্জে মহিলা খুনের কিনারা। 'সম্পর্কের টানাপোড়েনে প্রতিহিংসার বশে গলা কেটে খুন করা হয় মহিলাকে। ডায়মন্ড হারবারের বাসুলডাঙা থেকে গ্রেফতার নিহতর ভগ্নিপতি। পুলিশ সূত্রে দাবি, নিহত মহিলার নাম খতেজা বিবি। বাড়ি মহরাহাটে ।


গলফ গ্রিন, টালিগঞ্জে পরিচারিকার কাজ করতেন খতেজা। কয়েক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ভগ্নিপতির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান খতেজা। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই প্রতিহিংসাবশত খুন' বলে অনুমান পুলিশের।গতকাল মহিলার কাটা মাথা উদ্ধার হলেও মেলেনি দেহের বাকি অংশ। সূত্রের খবর, 'মৃত্যু নিশ্চিত করতে শ্বাসরোধ করার পর মাথা কাটা হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক তদন্তে উল্লেখ রয়েছে। কাটা মাথা পাওয়ার ১২ ঘণ্টা আগে খুন করা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। 


গলফগ্রিন থানা এলাকায় টালিগঞ্জের গ্রাহামস রোডে ভ্যাটের মধ্যে উদ্ধার হয় মহিলার মাথা। খুনের ঘটনায় ডায়মন্ড হারবারের বাসুলডাঙা থেকে আটক করা হয়েছে নিহতের ভগ্নিপতিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত মহিলার নাম খতেজা বিবি। বছর চল্লিশের খতেজার বাড়ি মগরাহাটের কামদেবপুরে। বেশ কয়েকবছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বাপের বাড়িতে দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন খতেজা। গলফ গ্রিন, যাদবপুর এলাকায় পরিচারিকার কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার কাজে গিয়েছিলেন, তারপর বাড়ি ফেরেননি, মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, ডায়মন্ড হারবারের পঞ্চগ্রামের বাসিন্দা পেশায় রং মিস্ত্রি ভগ্নিপতির সঙ্গে খতেজার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। 


সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই প্রতিহিংসাবশত খুন বলে অনুমান পুলিশের। মহিলার কাটা মাথা উদ্ধার হলেও এখনও দেহের বাকি অংশের হদিশ মেলেনি। মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয় মহিলাকে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে শ্বাসরোধ করার পর মাথা কাটা হয়। এমনই বলছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। কাটা মাথা পাওয়ার ১২ ঘণ্টা আগে খুন, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। টাওয়ার ডাম্পিং পদ্ধতি ব্যবহার করে আততায়ীকে চিহ্নিত করে পুলিশ।   


আরও পড়ুন, RG Kar ধর্ষণ-খুনের মামলায় কী করে জামিন সন্দীপ ও অভিজিতের ? বড় প্রশ্ন জুনিয়র চিকিৎসকের, 'পুলিশের মতোই CBI..' !


সম্প্রতি আরও একটি নৃশংস খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল উত্তর ২৪ পরগনায়। দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা ছিল হাত-পা। যাতে ভেসে না ওঠে, তার জন্য কোমরে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল ইট। সন্দেশখালির ন্যাজাটে ১৯ বছরের আদিবাসী তরুণীকে কে বা কারা, কী উদ্দেশ্যে নৃশংসভাবে খুন করেছিল, তা জানতে তদন্তে নেমেছিল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হয়েছিল, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল ন্যাজাটের তরুণীকে। পরিবারের দাবি,   মায়ের সঙ্গে ছাগল চরাতে গিয়েছিলেন আদিবাসী তরুণী। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পুকুরে ভেসে উঠেছিল তরুণীর দেহ। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তুলেছিল নিহতের পরিবার। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।