নয়াদিল্লি : খাবারে একটু হাত খুলে টোম্যাটো না দিলে কি স্বাদ বাড়ে ? আর সেই টোম্যাটোই কি না ধরাছোঁয়ার বাইরে ! বিগত কয়েকদিন ধরে যার আকাশছোঁয়া দাম। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের একটা বড় অংশ কার্যত এড়িয়ে যাচ্ছেন এই সবজি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই কমবেশি এই ছবি দেখা গেছে। যার জেরে পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে NAFED ও NCCE- এই দুই মার্কেটিং এজেন্সিকে আরও কম দামে টোম্যাটে বিক্রির নির্দেশ দিল সরকার। ৮০ টাকার পরিবর্তে কেজিপ্রতি এবার থেকে ৭০ টাকায় এই সবজি বিক্রি করতে বলা হল। বৃহস্পতিবার থেকেই যে নির্দেশ লাগু করা হবে। এমনই খবর সরকারি সূত্রের।
ন্যাশনাল কোঅপারেটিভ কনজিউমার্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া বা NCCF এবং ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কোঅপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া বা NAFED- এই দুই এজেন্সি প্রাথমিকভাবে খুচরো বাজারে ৯০ টাকা কেজি দরে টোম্যাটো বিক্রি করছিল। যে দাম গত ১৬ জুলাই কমিয়ে কেজিপ্রতি ৮০টাকা করা হয়। এবার ৮০ থেকে নেমে যা ৭০ টাকা হতে চলেছে।
দিনকয়েক ধরে চর চর করে বাড়তে থাকে টোম্যাটোর দাম। যার জেরে NCCF ও NAFED অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রের মাণ্ডি থেকে টোম্যাটো সংগ্রহ করতে শুরু করে। যাতে গত এক মাসে যেসব মূল খুচরো বাজারগুলিতে বিশাল হারে দাম বাড়ছিল, সেসব জায়গায় এই সবজির তুলনামূলক কম দামে জোগান দেওয়া যায়।
এক বিবৃতিতে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় টোম্যাটোর খুচরো বিক্রয় শুরু হয়েছিল গত ১৪ জুলাই থেকে। ১৮ জুলাই পর্যন্ত এখানে ৩৯১ মেট্রিক টন টোম্যাটোর জোগান দিয়েছে উপরোক্ত দুই এজেন্সি। যারা ক্রমাগত দিল্লি-এনসিআর, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের মূল খুচরো বাজারগুলিতে এই সবজির জোগান দিয়ে যাচ্ছে।
মূলত জুলাই-অগাস্ট এবং অক্টোবর-নভেম্বর মাসে টোম্যাটোর উৎপাদন কম থাকে। দেশের প্রায় সব রাজ্যেই এই সবজি চাষ হয়। কিন্তু, ভিন্ন পরিমাণে। দেশের ৫৬ থেকে ৫৮ শতাংশ টোম্যাটো চাষ হয় দক্ষিণ ও পশ্চিমের এলাকায়। কিন্তু, এবার এই সময়ে টোম্যাটোর দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। এনিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও কেন্দ্রকে বিঁধতে ছাড়েনি। এই পরিস্থিতিতে আবার পদক্ষেপ সরকারের।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন