নন্দীগ্রাম : ভোট (Panchayat Election) মিটতেই বিভিন্ন দল থেকে তৃণমূলে যোগদানের খবর নতুন নয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই ছবি ধরা পড়েছে। কাজেই, নিত্যদিন সংগঠনের ক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে রাজ্যের শাসকদল। এবার সেই তৃণমূলই ভাঙনের আশঙ্কায় দলের জয়ী প্রার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করাল। নন্দীগ্রামে জয়ী গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের শপথবাক্য পাঠের সেই ভিডিও ভাইরাল। নন্দীগ্রামের (Nandigram) খোদামবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের শপথের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলের চর্চা শুরু হয়েছে।


দিনকয়েক আগে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় জয়ী সিপিএম প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দিয়েও ফিরে গেছেন সিপিএমে। সেই ঘটনা নিয়ে জেলার রাজনীতিতে কম চর্চা হয়নি। আর এবার বোর্ড গঠনের আগে একটি ভাইরাল ভিডিওতে (Viral Video) দেখা যাচ্ছে, নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের খোদামবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থীরা তৃণমূল না ছাড়ার শপথবাক্য পাঠ করছেন। তা নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে। তবে, কি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কেন্দ্রে আশঙ্কায় ভুগছে তৃণমূল ? এই প্রশ্নও তুলছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।


কিন্তু, কেন এই আশঙ্কা করছে তৃণমূল ? সত্যিই কি দলে ভাঙনের আশঙ্কা, নাকি অন্য কিছু কারণ রয়েছে এর পেছনে ?


জানা যাচ্ছে, এই খোদামবাড়ি ১ নম্বর পঞ্চায়েতে মোট আসন রয়েছে ১৫টি। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছে ৮টি আসনে। অন্যদিকে, ৭ টা আসন পেয়েছি গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে, শাসকদলের এক জনও যদি দল বদল করে ফেলেন, তাহলে বিজেপির কাছে বোর্ড গঠনের পথ খুলে যাবে। শুভেন্দুর বিধানসভা কেন্দ্রে এরকম কোনও সম্ভাবনাই জিইয়ে রাখতে চাইছে না তৃণমূল। কারণ, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে প্রেস্টিজ ফাইট।


প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটে নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে খারাপ ফলের জের। ভোটের ফল ঘোষণার পরেই অপসারণ করা হয় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অরুণাভ ভুইঁঞাকে। তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে বর্ষীয়ান নেতা নাড়ুগোপাল জানাকে। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে অরুণাভকে, দাবি করেন তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রর। যদিও দলের এই বক্তব্য মানতে নারাজ অপসারিত ব্লক সভাপতি।


তাঁর দাবি, শারীরিক অসুস্থতা তাঁকে সরানোর কারণ নয়। নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৪টি গেছে বিজেপির ঝুলিতে, আর একটি অঞ্চলে ত্রিশঙ্কু হলেও বেশি সংখ্যক আসন পেয়েছে বিজেপি। এরপরই তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পরিবর্তনকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।