ময়ুখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) এসিপি (ACP) দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে বেধড়ক মারধরের (assault) ঘটনায় আরও তিন জনকে গ্রেফতার (arrest) করা হয়েছে। ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে দত্তপুকুর থেকে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ (kolkata police)। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ধৃতের সংখ্যা ৯। তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। 


কী ঘটেছিল?
গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন জখম হন কলকাতা পুলিশের এসিপি দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। তিনি সেন্ট্রাল ডিভিশনের চার্জে ছিলেন। ঘটনার দিন যখন হাওড়া ব্রিজের সামনে থেকে পদ্মশিবিরের কর্মীদের সরানোর চেষ্টা চলছিল, তখন কয়েক জনের হাতে আক্রান্ত হন এই পুলিশ আধিকারিক। অভিযোগ, মহাত্মা গাঁধী রোডের দিকে সরতে থাকা বিজেপির কয়েকজন কর্মী সমর্থকদের দিকে তাড়া করেন দেবজিৎ। তাঁদের হাতে ইট, লাঠি ইত্যাদি ছিল বলে খবর। আচমকা তাঁরাই ঘিরে ফেলেন দেবজিৎকে। তার পরই বেধড়ক মারধর চলে এসিপির উপর।  কোনওক্রমে তিনি প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তাঁর রক্ষী ঢাল দিয়ে আধিকারিককে রক্ষার চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিযোগ, বেপরোয়া কর্মী-সমর্থকদের আঘাতে সেই ঢালও ভেঙে যায়। পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করতে গিয়ে হোঁচট খান এসিপি। সেই অবস্থায় ফের তাঁকে মারধর শুরু করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তখনই তাঁর হাতে গুরুতর চোট লাগে, এবং তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। ঘটনায় লালবাজারের তরফ থেকে ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টার মামলা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তার মধ্যে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রয়েছে বলেও খবর। প্রথমে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, পরে ফুটেজ থেকে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গত কাল রাতে  উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থেকে আরও ৩ জনকে ধরা হয়। অর্থাৎ শনিবার পর্যন্ত ধৃতের সংখ্যা ৯। এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জখম এসিপি-কে দেখতে এসেছিলেন। এদিন তাঁকে দেখতে আসেন কলকাতা পুলিশের সিপি, বিনীত গোয়েল। উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে সিপি-র নিজেরই ডেঙ্গি ধরা পড়ে। 


নবান্ন অভিযান...
বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন দফায় দফায় সংঘর্ষের সাক্ষী থেকেছে কলকাতা ও হাওড়া। গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বেশ কিছু এলাকা। সাঁতরাগাছির পরিস্থিতি উদ্বিগ্ন করে রাখে প্রশাসনকে। গ্রেফতার হন রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, পুলিশের হামলায় তাদের দলের বহু কর্মী জখম হয়েছেন। পাল্টা আহত হওয়ার অভিযোগ আনে পুলিশ প্রশাসনও।


আরও পড়ুন:হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই আহত এসিপিকে দেখতে গেলেন সিপি বিনীত গোয়েল