প্রবীর চক্রবর্তী, কলকাতা: বহুতলে লিফটে আটকে যাওয়ার আতঙ্ক প্রায় সবারই কাজ করে। লিফটের ভিতরেও সতর্কবার্তা জানান দেয়, সেকথাই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নোটিসে বলা থাকে, লিফটের দরজা না খুললে, আতঙ্কিত না হয় কেউ। ডায়াল বক্সের বাটান প্রেস করতে বলা হয়। বিদ্যুৎ বিচ্ছেদ হলে বলা হয়, একটু অপেক্ষা করতে। ব্যাটারিতে আপনা আপনিই চালু হবে লিফট। নিকটবর্তী দরজায় খুলে যাবে। কিন্তু এসব কিছু তখনই খাটবে, যখন কেউ লিফটের ভিতরে আটকে থাকবে। তবে আজ বোধ হয় সেসব কিছুই পার করল। কারণ এদিন আলিপুরের নব প্রশাসনিক ভবনের লিফটে আটকে গেল একজনের পা ! আর সেই দৃশ্য দেখল বাকি যাত্রীরা (Lift Accident in Alipore Administrative Building)।


 দরজার মাঝে পা রাখতেই চালু হল লিফট..


 'আহত' ওই লোকটির নাম শাহাবুদ্দিন মোল্লা। বয়স প্রায় ৪০ এর কাছে। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাম্পাহাটির বাসিন্দা। জানা গিয়েছে,  এদিন তিনি ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টে শুনানি ছিল বলে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল তাঁর ভাই। সিক্সথ ফ্লোরে (৭ তলায়) লিফটে উঠে পাছে দরজা অটোমেটিক বন্ধ না হয়ে যায়, সেই কারণে তিনি পা রেখেছিলেন দরজার মাঝখানে। এদিকে ততক্ষণ লিফট স্টার্ট হতেই পা আটকে যায় দেওয়াল এবং লিফটের মাঝে। ততক্ষণে হইচই পড়ে গিয়েছে। তারপর দুর্ঘটনার খবর পৌঁছতেই, প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় দমকল বাহিনীর কর্মীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। এবং আহত ওই ব্যাক্তিকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।  শেষ অবধি পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, পা আটকে গেলেও, প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। কথাবার্তাও বলতে পারছেন। তবে পায়ে চোট পেয়েছেন। 


আরও পড়ুন, সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীরের বাড়িতে CBI


মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল কলকাতা


প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের দশকে রাজ্য তথা দেশের অধিকাংশ বহুতলগুলিতে কোলাপসিবল দেওয়া লিফট ছিল। এতে নিজের হাতে টেনেই গেট বন্ধ করতে হত। না হলে লিফট চালু হত না। আর যদি চলতে চলতে লিফট কোথাও আটকে যেত, সেক্ষেত্রে চিৎকার করলে বাইরে সেই আওয়াজ পৌছতও। কিন্তু হালের লিফটগুলি স্বয়ংক্রিয়। ঢাকা স্টিলের দরজা। বন্ধ হয় নিজে থেকেই। তাই মিল নেই। এক্ষেত্রে সতর্কতাও তাই বেশি রাখতে হয়। যা লিফটের ভিতরে স্পষ্ট লেখাও থাকে। যদিও এদিন সেই সবই হার মানল। মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল কলকাতা।