শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: স্নান করতে নেমে জলে (pond) তলিয়ে (sink) মৃত্যু (death) তিন বালকের (three boys)। মর্মান্তিক ঘটনা মাথাভাঙার (mathabhanga) ভ্যারভেরি মনাবাড়ি এলাকায়। স্থানীয়দের কারও কারও দাবি, মৃত তিন জনই সাঁতার জানত। তার পরও কী ভাবে তলিয়ে গেল? দানা বাঁধতে শুরু করেছে রহস্য।


কী ঘটেছে? 


বিবেক বর্মন (১০), দেব দাস (৯) এবং রোহিত বর্মন (৯)। তিন জনই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল বলে খবর। আজ বেলা দেড়টা নাগাদ বাড়ির কাছে একটি ডোবায় মাছ ধরতে গিয়েছিল তারা। স্থানীয় বাসিন্দা বিপুল ধর জানান, মাছ ধরার পর লাগোয়া পুকুরে স্নান করতে আসে তিন জন। সঙ্গে ছিল আরও এক জন। কিন্তু বিবেক, দেব এবং রোহিত স্নান করতে নেমে আচমকাই তলিয়ে যেতে শুরু করে। দেখে চতুর্থ বাচ্চাটি পাড়াপড়শিদের ডাকতে ছুটে যায়। স্থানীয়রাই এসে উদ্ধার করেন তিন জনকে। নিয়ে যাওয়া হয় মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই তিন জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। কী থেকে কী হয়ে গেল এখনও ঠিক ঠাওর করে উঠতে পারছে না মৃতদের পরিবার। এলাকাতেও শোকের ছায়া।


যেখানে প্রশ্ন?   


মর্মান্তিক এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করতে চলেছে পুলিশ। তিনটি দেহরই মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্ত হবে। কিন্তু পাড়াপ্রতিবেশিদের কেউ কেউ জানাচ্ছেন, তিন জনই সাঁতার জানত। এমনকী তাদের কোনও অসুস্থতা ছিল বলেও প্রাথমিক ভাবে শোনা যায়নি। তা হলে একসঙ্গে তিন জনের মৃত্যু কী ভাবে? 


মর্মান্তিক ঘটনা আগেও...


গত জুনে কার্যত এক ঘটনা ঘটেছিল পশ্চিম বর্ধমানের জামুরিয়া থানার জামুরিয়া গ্রামে। পুকুরে স্নান করতে নেমে জলে ডুবে মারা যায় দুই বালক। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকাল ৯টা নাগাদ পাঁচ বালক আখলপুর বাঁধের কাছে একটি পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিল। সেখানেই দুই বালক তলিয়ে যায়। তিনজন কোনওমতে প্রাণে বেঁচে বাড়ি ফেরে। তারাই এসে বাড়িতে তলিয়ে যাওয়ার খবর দেয়। এরপরই পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জলে নেমে তল্লাশি শুরু করেন। উদ্ধার হয় দুই বালকের দেহ। দ্রুত স্থানীয় আখলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়েও যাওয়া হয় তাঁদের। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। 


আরও পড়ুন:ভগিনী নিবেদিতার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা, ফের বিতর্কে বাগদার বিধায়ক