কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: কয়লার (coal) চাল (roof) ধসে মর্মান্তিক মৃত্যু (tragic death) সওদাগর ভুঁইয়া নামে এক খনিকর্মীর (mine worker)। জামুরিয়া থানার (jamuria police station) শ্রীপুর ফাঁড়ি এলাকার সাতগ্রাম এরিয়ার ঘটনা। গুরুতর জখম (injured) আরও দুই খনি কর্মী।
কী ঘটেছিল?
প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের মতে, সাতগ্রাম এলাকার অন্তর্গত সাতগ্রামের ইনক্লাইনে কাজ করতে গিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে বলে খবর। রবিবার সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর ছড়াতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কয়লাখনির শ্রমিক সংগঠমের সদস্যরা এই জন্য ইসিএল আধিকারিকদের গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, জখম দুই কর্মীকে উদ্ধার করে আসানসোলের কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খনি শ্রমিকদের অভিযোগ, কয়লার চাল ঠিকমতো মজবুত না থাকাতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
প্রথম নয়...
খনি-এলাকায় মর্মান্তিক মৃত্য়ুর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। শুধু মৃত্যু কেন, ধসের আতঙ্কও কার্যত প্রতি মুহূর্তে তাড়া করে এলাকার বাসিন্দাদের। গত অগাস্টেই যেমন অন্ডালে ইসিএলের খোলা মুখ খনি এলাকায় ধসের আতঙ্ক দেখা দেয়। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইসিএলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বারবার জানালেও কর্ণপাত করেনি কর্তৃপক্ষ। গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেন ইসিএল কর্তৃপক্ষ। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। তার আগে, গত জানুয়ারিতে বড়জোড়ার ট্রান্স দামোদর কয়লাখনির বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেন জমাদার গ্রামের বাসিন্দারা। সংস্থার দফতেরর সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয় সে সময়। অভিযোগ ছিল, কয়লা উত্তোলনের জন্য খনিতে যে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল তাতে এলাকার সব বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করলে বিক্ষোভ থেকে সরবেন না তাঁরা। এ ছাড়া খোলামুখ কয়লাখনিতে দুর্ঘটনার খবরও নতুন নয়।
মর্মান্তিক পরিণতির তালিকায় নতুন সংযোজন আজকের ঘটনা।
আরও পড়ুন:স্পষ্ট দেখা যাবে বাষ্পীয় বলয়, রহস্যময় লাল বিন্দুও, চলতি মাসেই পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে বৃহস্পতি